নারীদের জন্য আলাদা কামরা যুক্ত হচ্ছে ট্রেনে
১১ এপ্রিল ২০২২ ১৯:০২
ঢাকা: গণপরিবহনে নারীদের হয়রানির ঘটনা ঘটছে অহরহ। বাস, লঞ্চ কিংবা ট্রেনের মতো যানবাহনে শ্লীলতাহানী এমনকি ধর্ষণের মতো ঘটনার নজিরও রয়েছে। যে কারণে নারীদের নিরাপদ ভ্রমণে আলাদা গণপরিবহনের দাবি দীর্ঘদিনের। রাজধানীর পথে নারীদের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় কিছু বাস চালু থাকলেও অন্য কোনো পরিবহনে নেই। এবার এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে রেল। নারী শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য আন্তঃনগর ট্রেনে আলাদা কামরা যুক্ত করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ইদুল ফিতর থেকেই চালু হচ্ছে এ সুবিধা।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সকল আন্তঃনগর ট্রেনে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি করে কামরা যুক্ত করা হবে। যে কামরায় শুধুমাত্র নারী শিশু ও এমন প্রতিবন্ধীরাই অবস্থান করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে এর টিকিটও বিক্রি শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো.হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, আমাদের দেশের নারীরা যেন নিরাপদে রেলভ্রমণ করতে পারেন সেজন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, সামনে ঈদ আসছে কিংবা অন্য যেকোনো সময় অনেকে স্ত্রী-সন্তানকে আগে বাড়িতে পাঠাতে চান, কিন্তু নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে দূরের পথে পাঠাতে সাহস করেন না। আবার অনেক নারী একা ট্রেন ভ্রমণ করেন, তারা নিরপত্তাহীনতায় ভোগেন। এবার এই উদ্যোগের ফলে তারা অনায়াসে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারবেন। কারণ ওই কামরা শুধুমাত্র নারীদের জন্য। জনবলও সেভাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ জানুয়ারিতে নারীদের নিরাপদে রেল ভ্রমণের জন্য ট্রেনে তাদের জন্য আলাদা কামরা বরাদ্দের বাস্তবায়ন চেয়ে একটি রিট আবেদন করা হয়। জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মো.আজমল হোসেন খোকন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ও রেলওয়ে পরিদর্শককে বিবাদী করে দায়ের করা ওই রিটে নারীরা যেন নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য ট্রেনে তাদের জন্য আলাদা কামরা বরাদ্দ রাখতে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
এর আগে নারীদের জন্য আলাদা কামরা বরাদ্দ চেয়ে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি একটি (আইনি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। সেই নোটিশে বাংলাদেশ রেলওয়ে আইন ১৮৯০ এর ৬৪ ধারায় নারীদের জন্য আলাদা একটি কামরা বরাদ্দ রাখার বিধান থাকলেও এখন পর্যন্ত আইনটি বাস্তবায়ন হয়নি। সে কারণে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলো।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ