Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৪ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে ৩ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১২ এপ্রিল ২০২২ ২২:৪৯

ঢাকা: কুমিল্লার তিনটি প্রতিষ্ঠান ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- সুয়াগাজীর ভাটপাড়ার কিষোয়ান স্নাকস্ লিমিটেড, বনফুল অ্যান্ড কোং এবং বিসিক শিল্প নগরীর ফরিদ ফাইভার অ্যান্ড উইভিং লিমিটেড।

মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) রাতে সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

তিনি জানান, ফাঁকি দেওয়া রাজস্ব আদায়ের জন্য মামলা তিনটি সংশ্লিষ্ট কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেট পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও মনিটরিং করার জন্যও সংশ্লিষ্ট ভ্যাট কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিষোয়ান স্নাকস্ ও বনফুল অ্যান্ড কোং মিষ্টি ও বেকারি পণ্য উৎপাদন করে সারাদেশে সরবরাহ করে এবং একই মালিকানাধীন। এছাড়া ফরিদ ফাইভার অ্যান্ড উইভিং প্রতিষ্ঠানটি সামুদ্রিক জাল ও রশি উৎপাদন করে।

ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দার উপ-পরিচালক মুনাওয়ার মুরসালীনের নেতৃত্বে একটি দল গত ১৭ জানুয়ারি ওই তিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে। এতে ভ্যাট গোয়েন্দারা ভ্যাট ফাঁকির আলামত সংগ্রহ করে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিক্রয় চালান এবং বিক্রয় রেজিস্টার জব্দ করা হয়। সকল নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্তে দেখা যায়, কিষোয়ান স্নাকস্ ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ কোটি ৮২ লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৪ টাকার বিক্রয় তথ্য গোপন করে। যেখানে অপ্রদর্শিত মূসকের পরিমাণ ১ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৬ টাকা। এই ভ্যাট যথাসময়ে পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী মাসিক ২ শতাংশ সুদ আসে ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৭ টাকা।

বিজ্ঞাপন

আরও জানা যায়, বনফুল অ্যান্ড কোম্পানিটি ২০২১ সালের জানুয়ারি ও ডিসেম্বরে দাখিলপত্রে ৩ কোটি ১৯ লাখ ৬২ হাজার ২৯ টাকা কম বিক্রয়মূল্য প্রদর্শন করে। যার ওপর প্রযোজ্য মূসক বা ভ্যাট ৪১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সুদ প্রযোজ্য ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭১৬ টাকা।

এদিকে ফরিদ ফাইভার অ্যান্ড উইভিং লিমিটেডের ২০২০ সালের জানুয়ারি ও গত ডিসেম্বরে জব্দ করা নথি অনুযায়ী ৭ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার ২৭৫ টাকার বিক্রয়ের তথ্য গোপনের প্রমাণ মিলেছে। যেখানে ভ্যাট ১ কোটি ২ লাখ ১৮ হাজার ২৯৭ টাকা ও জরিমানা সুদ ৯ লাখ ৭৯ হাজার ৯৫৩ টাকা। সুদ-আসল মিলিয়ে প্রতিষ্ঠান তিনটি মোট ৪ কোটি ১৫ লাখ ৩ হাজার ৬৩৯ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।

সারাবাংলা/এসজে/পিটিএম

ভ্যাট গোয়েন্দা মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর