ফিলিপাইন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১১৭
১৩ এপ্রিল ২০২২ ১৩:২৮
দক্ষিণ আফ্রিকায় ও ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে ৫৮ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৯ জন মারা গেছেন। খবর এএফপি।
বুধবার (১৩ এপ্রিল) ফিলিপাইন সরকার এবং গতকাল মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে বুধবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ জনে। অতি বৃষ্টির ফলে কাদামাটির ধসে ঢেকে যাওয়া গ্রামগুলো থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধারের পর সরকারি হিসাবে নিহতদের এই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মেগি এই দ্বীপপুঞ্জের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ লেইতের বেবে সিটি ঘিরে গ্রামগুলোতে আঘাত হানায় এ বছরের সবচেয়ে বেশি এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বন্দর নগরী ডারবান এবং পার্শ্ববর্তী কওয়াজুলু-নাতাল প্রদেশে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৫৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মঙ্গলবার দেশটির সরকার এ তথ্য জানায়।
প্রদেশটির দুর্যোগ সহযোগিতা পরিচালনা বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রবল বর্ষণের ফলে ৫৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
খবরে বলা হয়, কয়েক দিনের বর্ষণে দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় এ নগরীর বিভিন্ন এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং অনেক সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে ভূমিধসের কারণে কওয়াজুলু নাতাল প্রদেশে ট্রেন সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে।
বেসরকারি জরুরি ও উদ্ধার কর্মী এবং প্যারামেডিক চিকিৎসকদের সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, নগরীর বিভিন্ন মহাসড়ক প্লাবিত হয়েছে এবং অনেক গাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেক ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।
কওয়াজুলু-নাতাল প্রদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ লোকজনকে ঘরে অবস্থান করার আহ্বান জানিয়েছে এবং নিচু এলাকায় বসবাস করা লোকদের উচু এলাকায় চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রাদেশিক প্রধানমন্ত্রী সিহলি জিকালা সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, এ দুর্যোগে বিপুল সংখ্যক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রাদেশিক সহযোগিতা বিভাগ জানায়, সেখানে সামরিক বাহিনীর সহযোগিতায় বন্যা কবলিত এলাকায় আটকে পড়া লোকজনকে সরিয়ে নিতে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
সারাবাংলা/এনএস