Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘স্যারের ন্যাচারাল ডেথ, ঠাণ্ডার কারণে মারা গেছেন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৩ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১০

ঢাকা: ‘ছয় মাস পরে কেউ যদি মারা যায় সেটা ৩০২ ধারায় (হত্যা) মামলা হবে না। ড. হুমায়ুন আজাদ স্যার চিকিৎসাধীন ছিলেন, সুস্থ হয়েছিলেন। উনার ন্যাচারাল ডেথ, ঠাণ্ডার কারণে মারা গেছেন।’

বুধবার (১৩ এপ্রিল) হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ কথাগুলো বলছিলেন। এদিন দুপুরে ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুনের আদালত হুমায়ুন আজাদ হত্যায় চার আসামির ফাঁসের আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘স্যার ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৭ তারিখ আহত হন। উনি ৬ মাস পরে জার্মানির মিউনিখে গিয়ে মারা যান। এ মামলায় প্রথমে হত্যাচেষ্টার চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। স্যার মারা যাওয়ার পর হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। প্রথমে এ মামলার পোস্টমর্টেম দেয়নি। এ মামলায় কোনো ডাক্তারকে সাক্ষী করা হয়নি। আমরা আদালতের কাছে বারবার বলেছিলাম, মামলাটা যেহেতু ৩০২ ধারার, সেহেতু ডাক্তারকে আনা হোক।’

তিনি আরও বলেন, ‘উনি (বিচারক) চেষ্টা করেছেন, কিন্তু রাষ্ট্র আনতে ব্যর্থ হয়েছে। যত প্রটোকল ছিল সব ব্যবহার করা হয়েছে। তারপরও সাক্ষীকে আনতে পারেনি। আমরা পোস্টমর্টেমের যতটুকু ফটোকপি পেয়েছি সেখানে দেখা যায়, স্যারের স্টমাকে অ্যালকোহল পাওয়া গেছে। যেটাকে আমরা ভদকা বলি। যেহেতু ঠাণ্ডার দেশ, একটু বয়স্ক মানুষ। মুসলিম মানুষ, কিন্তু ঠাণ্ডার কারণে অনেক সময় আমাদের অনেক কিছু খেতে হয় জীবন বাঁচাতে। স্যারের স্টমাকে অ্যালকোহল পাওয়া যায়। আমরা আদালতে বলেছিলাম, রিপোর্টে বলা আছে, স্যার মারা গেছেন হাইপারটেনশনে। আঘাতের কারণে মারা গেছেন পোস্টমর্টেমে এটা বলেনি।’

বিজ্ঞাপন

ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘বিচারক ভালো করে অবজারভেশন না নিয়ে সাজা দিয়েছে। আমরা মনে করি, এই ধরনের ট্রেন্ড যদি থাকে একটা মামলা হলেই তাকে ফাঁসি দিতে হবে। এরকম হতে থাকলে আমরা আসামিপক্ষে যারা আছি তারা আর মামলা করতে আসব না।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘২০০৪ সালের ৮ মার্চ হুমায়ুন আজাদ স্যার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন। যিনি প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন তার বয়স ছিল স্যারের চেয়েও দেড় বছরের বড়। স্যারের বয়স তখন ছিল ৫৬। আর যিনি আঘাত করেছিলেন তার বয়স ছিল ৫৭/৫৮ বছর। আর আমাদের আসামিদের বয়স ২৬/২৭। এটাও আমরা আদালতকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আদালত আমাদের কোনো যুক্তি খণ্ডন না করেই সাজা দিয়েছেন। আমরা খুবই মর্মাহত এমন জাজমেন্টে। আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হলো।’

সারাবাংলা/এআই/পিটিএম

হুমায়ুন আজাদ হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর