‘অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগ্রত করে বাংলা নববর্ষ’
১৪ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৩০
খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে জাগ্রত করে। সবধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে।
বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) খুবি ক্যাম্পাসে মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন নানা আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ (বাংলা নববর্ষ-১৪২৯) উদযাপিত হয়। সকাল ৯টায় উপাচার্যের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের হাদী চত্বর থেকে শুরু করে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় মেইন গেট হয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ থেকে হাদী চত্বরে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। এর সঙ্গে বাঙালি জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য জড়িত। বাঙালির চিরায়ত এই উৎসবটি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উদযাপিত হয়। বাংলা নববর্ষের কর্মসূচির মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রশংসিত। যা ইতোমধ্যে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। বিগত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে বাংলা নববর্ষ সেভাবে পালন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই মহামারি কাটিয়ে আবারও যে উৎসবমুখরভাবে দিনটি পালন করা হচ্ছে এটা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপদানে কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালে বাংলাদেশ যে মধ্যম আয়ের দেশের স্বপ্ন দেখছে, তা বাস্তবায়িত হবে। শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয় সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে।’
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন উপাচার্য। শোভাযাত্রা শেষে তিনি বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত লাঠিখেলা ও মোরগ লড়াই উপভোগ করেন।
শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ডিসিপ্লিন ও বিভাগীয় প্রধানরাসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
সারাবাংলা/পিটিএম