Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাঙ্গামাটিতে সাংগ্রাই জল উৎসব শনিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৪ এপ্রিল ২০২২ ২১:০২

রাঙ্গামাটি: বৈসাবির উৎসবের অন্যতম একটি সাংগ্রাই। ১৬ এপ্রিল (শনিবার) রাঙ্গামাটিতে মারমা জনগোষ্ঠীর সাংগ্রাই জল উৎসবের (জলকেলি) মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাহাড়ের প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবির আনুষ্ঠানিকতা।

এদিন রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘জলকেলি’ উৎসব আয়োজনে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে মারমা জনগোষ্ঠীর সংগঠন মারমা সংস্কৃতি সংস্থা (মাসস)। মূলত এই উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রতিবারই পাহাড়ে বৈসাবির সাঙ্গ ঘটে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) মাসস সূত্রে জানা গেছে, ‘পার্বত্য অঞ্চলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সংস্কৃতি বিকাশে এগিয়ে আসুন’ এই স্লোগানে মাসস আয়োজিত সাংগ্রাই জল উৎসব-২০২২ এ প্রধান অতিথি হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, সেনাবাহিনী রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমতাজ উদ্দিন, রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন। পুরো আয়োজনের সভাপতিত্ব করবেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার (মাসস) সভাপতি অংসুইপ্রু চৌধুরী।

১২ এপ্রিল শুরু হওয়া পাহাড়ের প্রধান এই সামাজিক অনুষ্ঠানের শেষ দিন ১৬ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় মারমাদের জল উৎসবে তিন পাহাড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মারমা জনগোষ্ঠীর তরুণ-তরুণীরা অংশ নেবেন। এছাড়া অনুষ্ঠান উপভোগ করতে বিভিন্ন স্থান থেকে অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মানুষ ও পর্যটকরা সমবেত হবেন।

বিজ্ঞাপন

জল উৎসবের এবারের অনুষ্ঠান সূচিতে রয়েছে, ১৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা ও সাংগ্রাই উদ্বোধন, সাড়ে ১১টায় জল উৎসব উদ্বোধন, দুপুর ১২টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত আটটায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারি (কোভিড-১৯) উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে গত দুবছর পার্বত্য চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজু, বৈসু, সাংগ্রাই, সাংক্রান বিহু, বিষু উদযাপন হয়নি। ঘরোয়াভাবে হলেও তেমন জাকজমকপূর্ণ হয়নি। তাই এ বছর যেন উৎসবের বাড়তি আমেজে মেতেছে পাহাড়ের নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেররা।

বিজু, বৈসুক, সাংগ্রাই, বিষু, বিহু, সাংক্রান নামে স্ব স্ব জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এই উৎসব উদযাপন করলেও উৎসবের বৈচিত্র্যকে একসঙ্গে বলা হয়ে থাকে বৈসাবি। মূলত ত্রিপুরাদের বৈসুক, মারমাদের সাংগ্রাই ও চাকমাদের বিজুর প্রথম আদ্যাক্ষর ‘বৈ’, ‘সা’, ‘বি’ নিয়ে বৈসাবির নামকরণ। যদিও আলাদা আলাদাভাবে উৎসবের নামকরণেই স্বস্তি পাহাড়ি নেতাদের।

সারাবাংলা/পিটিএম

বৈসাবি রাঙ্গামাটি সাংগ্রাই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর