Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম থেকে চুরি করা শিশু ভারত সীমান্তে উদ্ধার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৫৪

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরী থেকে চুরি করা এক শিশুকে ভারতের সীমান্তবর্তী হবিগঞ্জ জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল।

শিশু চুরির ঘটনায় শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) রাতে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার খবরা এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ।

গ্রেফতার তিনজন হল- কুলসুম বেগম কুসুম (২৭) ও তার কথিত স্বামী মো. সোহেল (২৯) এবং সোহেলের মা খোরশেদা বেগম (৫৫)।

চুরি হওয়া দেড় বছর বয়সী শিশুটির মা মুক্তা বেগম পোশাক শ্রমিক ও বাবা আব্দুল খালেক মাংস বিক্রেতা। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার রউফাবাদের রাজা মিয়া কলোনিতে তাদের বাসা।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে জানান, গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) দেড় বছর বয়সী আরজুকে চুরি করে কুলসুম। এ সময় আরজুর মা-বাবা কর্মস্থলে ছিলেন। বড় বোন নাজমা বাসায় থাকলেও রান্নায় ব্যস্ত ছিল। এর ফাঁকে খালি বাসায় ঢুকে কুলসুম তাকে চুরি করে। আরজুকে না পেয়ে মুক্তা বেগম পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, এক নারী বাসায় ঢুকে শিশুটিকে কোলে করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে চেহারা ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছিল না। পরবর্তী সময়ে কুলসুমাকে আমরা শনাক্ত করি। কিন্তু তার পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা কোনোভাবেই পাওয়া যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে কুলসুমার পরিচয় নিশ্চিত করে অভিযান শুরু করি। হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কুলসুমাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে শিশুটিকে উদ্ধার করি। কুলসুমা সোহেলকে তার স্বামী বলে পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু কোনো প্রমাণপত্র নেই।’

বিজ্ঞাপন

ওসি কামরুজ্জামান আরও জানান, কুলসুমা রউফাবাদ এলাকায় থাকেন। সোহেলের বাড়ি মৌলভীবাজারে জেলায়। আগে চট্টগ্রাম নগরীতে থাকলেও বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে সে হবিগঞ্জে চলে যায়। তার মা খোরশেদা বায়েজিদের আমিন কলোনিতে থাকেন।

মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য গত ১২ এপ্রিল সোহেল চট্টগ্রামে আসেন। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম আদালতে তার মামলার হাজিরা ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কুলসুমা শিশুটিকে চুরি করে সোহেল ও খোরশেদাকে নিয়ে হবিগঞ্জে চলে যায়।

‘শিশুটিকে কেন চুরি করেছে?- এ বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলছে না তারা। বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে। যেহেতু একেবারে সীমান্তবর্তী এলাকায় শিশুটিকে নেওয়া হয়েছিল, আমাদের ধারণা ভারতে পাচারের উদ্দেশে চুরি করা হয়েছিল। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে গ্রেফতার তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে’- বলেন ওসি কামরুজ্জামান।

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

চট্টগ্রাম চুরি শিশু সীমান্ত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর