পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন— রায়হান হত্যার বিচার শুরু
১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫৮
সিলেট: সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। প্রায় দেড় বছর পর মামলা তদন্ত ও পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিসহ সব দাফতরিক কার্যক্রম শেষ করে ৬ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু হলো।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহিমের আদালতে গ্রেফতার পুলিশের বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবর হোসেন ভুইয়াসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে হাজির করা হয়। মামলার আরেক আসামি নোমান এখনো পলাতক।
আদালতে আকবরসহ চার পুলিশ সদস্য মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন জানান। আদালত তাদের আবেদন নাকচ করে দিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১০ মে দিন নির্ধারণ করেন বিচারক।
এর আগে, গত ১২ এপ্রিল এ মামলায় অভিযোগ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা ছিল। তবে আসামিদের পক্ষে ডিসচার্জ পিটিশন দাখিল করায় ওই দিন অভিযোগ গঠন হয়নি। পরবর্তী দিন হিসেবে আজ ডিসচার্জ পিটিশন বা অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে দিয়ে মহানগর দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দিলেন।
২০২০ সালের ১২ অক্টোবর ভোরে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হানকে মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী সিলেট সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও ১০ দিন পরেই মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে গত ৫ মে মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন পিবিআই পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। নোমানসহ সাত জনকে অভিযুক্ত করা হয় অভিযোগপত্রে। এর মধ্যে পাঁচ জনই পুলিশ সদস্য।
সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবুল মোমেন এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন গত ৩০ সেপ্টেম্বর। পরে আদালত পলাতক নোমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানাও জারি করেন।
সারাবাংলা/টিআর