চসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ
১৮ এপ্রিল ২০২২ ১৯:৫১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুর্ব্যবহারের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীকে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন সংস্থার পরিবহন কর্মীরা। পরে করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনেন।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকায় সিটি করপোরেশনের ‘সাগরিকা ইয়ার্ডে’ ওই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন গাড়ি চালক ও সহকারীরা।
জানা গেছে, নগরীর ফইল্যাতলী বাজারে খাল থেকে অপসারণ করা ময়লা-আবর্জনা পরিবহনের জন্য চারটি ডাম্প ট্রাক বরাদ্দ ছিল। কিন্তু সকাল পৌনে ১০টার দিকে মোরশেদুল আলম সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগের পুল সহকারী মো. নূর নবীকে ফোন করে আরও ৪/৫টি ট্রাক দেওয়ার কথা বলেন। নুর নবী গাড়ি নেই জানালে তাকে ওয়াকিটকিতে গালিগালাজ করেন। এরপর সাগরিকা ইয়ার্ডে গিয়েও দুর্ব্যবহার করেন।
এর প্রতিবাদে গাড়িচালক-সহকারীসহ পরিবহন বিভাগের কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে তিনি ইয়ার্ডের ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে সিটি করপোরেশনের যান্ত্রিক বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। দুপুর আড়াইটার দিকে মোরশেদুল আলমকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানতে চাইলে পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘পরিবহন বিভাগের একজন কর্মচারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সিটি করপোরেশনের ডাম্প ট্রাক, ময়লা পরিবহনের যেসব গাড়ি আছে সেগুলোর চালক-সহকারী মিলে প্রায় তিন শতাধিক লোক বিক্ষোভ শুরু করেন। উনারা উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরীকে প্রায় চার ঘণ্টা ঘেরাও করে রেখে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে যান্ত্রিক বিভাগের একজন প্রকৌশলীসহ আমরা ঘটনাস্থলে যাই। বিক্ষোভকারীদের শান্ত করে মোরশেদুল আলমকে বের করে পাঠিয়ে দিই।’
জানতে চাইলে সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম একজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এটা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। এটা বড় কিছু নয়। মেয়র মহোদয়সহ আমরা এখন ঢাকায় যাচ্ছি। ফিরে এসে মেয়র মহোদয় বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।’
এ বিষয়ে মোরশেদুল আলম চৌধুরী ও নুর নবীর বক্তব্য জানতে পারেনি সারাবাংলা।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম