কুষ্টিয়া শিক্ষা অফিসার জায়েদুরের বিরুদ্ধে দুনীতির অভিযোগের পাহাড়
১৯ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১০
ঢাকা: কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ, গোপনে কমিটি করে দেওয়া, সরকারি নিয়ম ভঙ্গ করে নিজ জেলায় কর্মরত থাকাসহ নানান অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই জেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ৩২ জন প্রধান শিক্ষক মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছেন খুলনা বিএল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার শরীফ আতিকুজ্জামান।
জানতে চাইলে শরীফ আতিকুজ্জামান বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ৩২ জন প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসারের বিরদ্ধে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেবো।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন, জেলা শিক্ষা অফিসারে ব্যবহার খুবই খারাপ। শুধু তাই নয়, যেকোনো ফাইলের জন্য তাকে ঘুষ দিতে হয়। অনেক সময় তিনি নিজেই ঘুষের টাকা নেন। আবার কখনো কখনো সহকারীর মাধ্যমেও নেন। নাহলে ফাইল আটকে যায়।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একজন সরকারি চাকরীজীবি একই জেলায় ৩ বছরের বেশি অবস্থান করার নিয়ম নেই। কিন্তু জায়েদুর রহমান প্রায় ৫ বছরের বেশি সময় ধরে বহাল তবিয়তে রয়েছেন নিজ জেলা কুষ্টিয়ায়।
জায়েদুর রহমান সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। পরে তিনি কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককের দায়িত্বও পালন করেন।
সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, সম্প্রতি কুমারখালী উপজেলার জোতমোরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ জন শিক্ষক নিয়োগে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব ঘুষের টাকায় জেলা শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমান তার স্ত্রীর নামে কুষ্টিয়া কোর্টপাড়া খোন্দকার আমিনুল হক বাদশা সড়কে ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের জমি ক্রয় করেছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জায়েদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সব মিথ্যা কথা। সরকার আমাকে ৩ বছরও রাখতে পারে, আবার ৫ বছরও রাখতে পারে।’ তার বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার জানা নেই।’
সারাবাংলা/এএম