Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাবি ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব, দায়ী শিক্ষার্থীরা!

আবু সাঈদ সজল, রাবি
২২ এপ্রিল ২০২২ ০৯:২১

শীতের সময় কিছুটা কম থাকলেও গরমে মশার রাজ্যে পরিণত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাস। মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পড়ার টেবিল থেকে শুরু করে ডাইনিং, আবাসিক হল রুম থেকে শ্রেণিকক্ষ; সর্বত্র চলছে মশার রাজত্ব। মশার উপদ্রব কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে ২টি ফগার মেশিন ব্যবহার করলেও মশা কমছেই না। তবে, শিক্ষার্থীদের অসচেতনতাকে দায়ী করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাস ও আবাসিক হল সমূহের আশপাশে থাকা ড্রেন, ডোবা, ঝোঁপঝাড় নিয়মিত পরিষ্কার না করা ও যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তূত থাকার কারণে ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব বেড়েই চলেছে। এসব ড্রেন ও ঝোপঝাড়ে মশার উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠলেও গ্রীষ্মের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার করতে দেখা যায়নি। ফলে মশার উপদ্রবে টিকতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলগুলোর আশপাশের ডোবা-নালা, জঙ্গল, নর্দমার পচা পানি ও ড্রেনগুলো অব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার ফলে খুব সহজেই মশা বংশ বিস্তার করছে।

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিলন ইসলাম বলেন, রোজার মাসে খাওয়া দাওয়ার কষ্ট সহ্য করে রাজশাহীতে অবস্থান করছি শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্য। কিন্তু সারাদিনে মশার জ্বালায় কোনো জায়গাতেই স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলার উপায় নাই। মশার অত্যাচারে পড়াশোনা করা দুরূহ ব্যাপার।

সৈয়দ আমীর আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দুর নুর সরকার বলেন, আমাদের হলে মশার উপদ্রব অধিকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় কোথাও দাঁড়িয়ে বা বসে কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। প্রতিদিন মশার কামড় সহ্য করতে হচ্ছে। এর ফলে মশাবাহিত বিভিন্ন রোগের আশঙ্কায় আছি। বিকেল হয়ে সন্ধ্যা নামার আগেই মশার প্রকোপ বেড়ে যায়। যার ফলে পড়ার টেবিলে বসে পড়াশোনাসহ অন্যান্য কাজ করতে পারছি না।

মশা নিধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রোভিসি অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ড্রেন পরিষ্কার করছে কিন্তু সবাই যদি যত্রতত্র ময়লা ফেলতে থাকে তাহলে মশার উপদ্রব তো বাড়বেই। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর উচিত হবে যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলা। আমাদের সবমিলিয়ে ৪০ হাজারের একটি পরিবার। সবাই সচেতন হলে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। তাছাড়া ড্রেন পরিষ্কারের জন্য জনবল সংকট রয়েছে বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থীদের অসচেতনতাকে দায়ী করে তিনি বলেন, আমি ৪ জনের রুম পরিদর্শন করেছি। হলের রুমগুলো তো একেকটা জঙ্গল বানিয়ে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। রুমগুলো এমন অপরিচ্ছন্ন মশারিটাও খোলার সময় নেই তাদের। এখন এসব রুমের ভিতরে গিয়ে তো ফগারের ধোঁয়া দেওয়া সম্ভব নয়।

সারাবাংলা/এএম

টপ নিউজ মশা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কানপুরে প্রথম দিনে বৃষ্টির দাপট
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩৫

সম্পর্কিত খবর