নওগাঁয় ৬ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, তরুণ গ্রেফতার
২৪ এপ্রিল ২০২২ ১৬:০৮
নওগাঁ: নওগাঁর মান্দা উপজেলায় নিমবাড়িয়া লক্ষ্মীরামপুর গ্রামে গতকাল শনিবার ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর তার লাশ বাঁশঝাড়ের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গতকাল রাতে জুয়েল নামে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে করে পুলিশ।
রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য ধরা হয়। পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাত ৯টার দিকে মান্দা উপজেলার নিমবাড়িয়া পশ্চিম লক্ষ্মীরামপুর গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে ছয় বছর বয়সী একটি শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে রাতেই শিশুটিকে হত্যার অভিযোগে জুয়েল নামে স্থানীয় এক তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে দেওয়া প্রাথমিক জবানবন্দিতে ওই তরুণ শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘গতকাল দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে শিশুটি অন্য শিশুদের সঙ্গে প্রতিবেশী গোবিন্দ চন্দ্র সাহার বাঁশঝাড়ে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী আমিনুলের ছেলে জুয়েল ওই বাঁশঝাড়ে বাঁশের কঞ্চি কাটছিল। অন্য শিশুরা বিকেল ৩টার দিকে নিজ নিজ বাড়িতে চলে গেলেও বখাটে জুয়েল ওই শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বাঁশঝাড়ের পাশে অবস্থিত খড়ের পালার পাশে ধর্ষণ করে।’
এ সময় শিশুটি কান্নাকাটি করে এবং বিষয়টি বাবা-মাকে বলে দিতে চায়। ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হওয়ার ভয়ে জুয়েল শিশুটির প্যান্টের কিছু অংশ ছিড়ে তার মুখে গুজে দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে শিশুটিকে হত্যা করে। পরে বাঁশঝাড়ের ঝোপের মধ্যে বাঁশের পাতা ও কঞ্চি দিয়ে ঢেকে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে। শিশুটির প্যান্টের বাকি অংশ পাশের আত্রাই নদীর তীরে ফেলে দেয়।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাঁশঝাড়ের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ দেখতে পেয়ে মান্দা থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মান্দায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
সারাবাংলা/একে