ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান।
রোববার (২৪ এপ্রিল) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সৌজন্য বৈঠক হয়। এতে আরও অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং তুরস্কের উপ-রাষ্ট্রদূত কামাল বুরাক তেমিজেল।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আমাদের মধ্যে আলাপ হয়েছে, রোহিঙ্গার ব্যাপারে আলাপ হয়েছে। আপনারা জানেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার্কির ইনিশিয়েটিভ অত্যন্ত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। প্রথমেই তার্কির ফাস্ট লেডি মন্ত্রীদের নিয়ে এখানে এসেছিলেন। বিশ্বের সামনে তাদের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গার বিষয়টি খুব বড়ভাবে তুলে ধরা হয়েছিল।’
‘মূলত দুই দেশের সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেগুলো সবসময় আলোচনায় উঠে আসে আমাদের নির্বাচন, মানবাধিকার, আইনের শাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে? প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে সবাই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে জানতে চাচ্ছে যে, এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত কী? বিএনপির অবস্থান আমরা তুলে ধরেছি। বিএনপির পক্ষে আমরা পাবলিকলি যা বলেছি সেটাই সেখানে তুলে ধরেছি। এখানে লুকোচুরির কিছু নাই।’
‘আমরা সব সময় যা বলি, সেটাই বলা হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে আলাদা করে বলার কিছু নাই। এটা সবাই জানে, এগুলো বলতে হয় না’- বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের কুটনৈতিক সস্পর্ক গড়ে ওঠা এবং ঢাকায় কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ এবং আঙ্কারায় জিয়াউর রহমান সড়কের নামকরণসহ দুই দেশের মধ্যকার নিবিড় সম্পর্কের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে বলে জানান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।