চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যু, শাস্তি শুধুই বদলি
২৪ এপ্রিল ২০২২ ১৭:২৮
নোয়াখালী: হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা না পেয়ে এক ব্যক্তি মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৮টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তড়িঘড়ি করে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দিপ্ত চন্দ্র কুরি, চিকিৎসকের সহকারী ইফতেখার উদ্দিন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশরাফ আলীকে ভাসানচর ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম সালাউদ্দিন মিরন (৫৫)। তিনি উপজেলার তমরুদ্দি ইউনিয়নের পূর্ব খিরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন।
নিহতের ছেলে অভিযোগ করে জানান, রোববার সকাল পৌনে ছয়টার দিকে তার বাবা কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় সংস্থার লোকজন ও তিনি তার বাবাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বা অন্য কেউ ছিলেন না। এরপর তিনি বাবাকে জরুরি বিভাগে রেখে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় নার্সদের খোঁজে। সেখানেও কোনো নার্স বা ওয়ার্ডবয়কে পাননি। এভাবে উপর-নিচে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যান, কিন্তু কোথাও কোনো চিকিৎসক, নার্স কিংবা অন্য কারও দেখা পাননি। এক পর্যায়ে তার বাবা সকাল ৮টার দিকে ছটফট করতে করতে বিনা চিকিৎসায় তার কোলেই মারা যান। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। এ ঘটনায় একজন ডাক্তারসহ তিন জনকে ভাসানচর ২০ শয্যার হাসপাতালে বদলি করেছেন। ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সারাবাংলা/এসএসএ