‘তেঁতুলতলায় থানা হবে কি না সিদ্ধান্ত আলোচনার পর’
২৫ এপ্রিল ২০২২ ১৬:০১
ঢাকা: রাজধানীর কলাবাগানে তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন হবে কি হবে না সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘মেয়রকে বলেছি, সবাইকে বলেছি বিকল্প একটি জায়গা খোঁজার জন্য। যদি না হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও এটি অতীব জরুরি। এটি আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব, কী করা যায়।’
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ছিন্নমুল মানুষদের ঈদবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সময়ে যেখানে খেলাধুলা করতাম, সেই অবস্থাটা এখন আর নেই। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কষ্ট বোধ করি।’
মূল কারণ আমাদের নগরায়ন, আমাদের জায়গা কম। কলাবাগান প্রসঙ্গ যখন আসে, আমরা যাই কিছু বলি, গুরুত্বের দিক দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটা বড় দায়িত্ব থাকে। আমরা যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হই, তাহলে সব কিছু মুখ থুবড়ে পড়বে। কলাবাগান থানা ভবন দীর্ঘদিনের একটি প্রচেষ্টা। ভাড়া ভবনে থানা পরিচালনা হচ্ছে।’
মাঠে থানা ভবন নির্মাণ নিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘ডিসি (জেলা প্রশাসক) মহোদয় জায়গাটি খাস জমি বলে চিহ্নিত করে বরাদ্দ দিয়েছে কলাবাগান থানাকে। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষে যখন ভবন নির্মাণ করতে যায়, তখন খেলার মাঠের দাবিতে…আমাদের মেয়র বলেছেন, এই জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে দিতে।’
‘আমরা মনে করি খেলার মাঠে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে, এটিই স্বাভাবিক। খেলার মাঠ যেন থাকে, সে জন্য আমরা মনে করি খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। মেয়রকে বলেছি, সবাইকে বলেছি বিকল্প একটি খোঁজার জন্য। যদি না হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও এটা অতীব জরুরি। এটা আমরা পরবর্তীতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব, কী করা যায়।’
খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনকারী মা-ছেলেকে আটকের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে সন্ধ্যার পরে অনেকেই ফোন করেছিল। আমি ঘটনার যতটুকু জেনেছি, তারা লাইভ ভিডিওতে এসে অনেককিছু প্রচার করছিল। সেগুলো নাকি একটু অসঙ্গতিপূর্ণ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বারবার নিবৃত করার পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন থামাতে পারেনি, তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়েছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’
কলাবাগানের ওই মাঠ রক্ষার আন্দোলন করায় সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না ও তার ছেলেকে শনিবার আটক করে থানায় নেওয়া হয়। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে, প্রতিক্রিয়া জানানো শুরু করেন অধিকারকর্মীরাও।
পরে সমালোচনার মুখে মুচলেকা নিয়ে ওই দুইজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠটি স্থানীয়রা খেলাধুলা ও সামাজিক কাজকর্মে ব্যবহার করে আসছিলেন। এটি দখল করে থানা ভবন নির্মাণ করার উদ্যোগ নিলে স্থানীয়রা এটা নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন।
সারাবাংলা/ইউজে/একে