নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় সরকার
২৬ এপ্রিল ২০২২ ১৫:১৮
ঢাকা: ২০৪০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও ক্লিন এনার্জি থেকে ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় সরকার। সেলক্ষ্যে কাজ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এক্ষেত্রে প্রতিবেশী দেশ নেপাল ও ভুটানের সহযোগিতা নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সঙ্গে নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পাম্পা ভুসাল দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
নেপালের মন্ত্রী পাম্পা ভুসালের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্রতিমন্তী নসরুল হামিদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেয়। এ সময় তারা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে নেপালের উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ আমরা আমদানি করতে পারি এবং শীত মৌসুমে যখন তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যায়, তখন আমাদের দেশ থেকে তারা বিদ্যুৎ নিলে দুই দেশই লাভবান হবে।
নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পাম্পা ভুসাল নেপালের জলবিদ্যুতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগতে বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় তিনি বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
দ্বিপাক্ষিক এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন। নেপালের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন, জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. সুরেন্দ্র লাব কারনা, নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচ মন্ত্রণালয়ের সচিব দেবেন্দ্র কারকিসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, গ্রীষ্ম-বর্ষা মৌসুমে নেপালের জলবিদ্যুৎ সক্ষমতা দাঁড়ায় ৪৩ হাজার মেগাওয়াট। বাংলাদেশ নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে। ভুটান থেকেও জল বিদ্যুৎ আমদানির জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/এএম