২ বছরের পর খুলল সীমান্ত হাট
২৬ এপ্রিল ২০২২ ১৮:২৪
ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর ধরে বন্ধ ছিল বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত এলাকায় বসা সীমান্ত হাট। সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় ফের এই হাট চালু হয়েছে। দেশের সাতটি সীমান্ত হাটের মধ্যে একটি হাট চালু হয়েছে এরই মধ্যে। আরও কয়েকটি হাটও শিগগিরই চালু হবে।
সুনামগঞ্জের ডলুরা ও ভারতের মেঘালয়ের বালাটের সীমান্তে অবস্থিত হাটটি চালু হয়েছে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল)। এছাড়া রিংকু (পূর্ব খাসি পাহাড়, মেঘালয়) – বাগান বাড়ি (ডুয়ারা বাজার, সুনামগঞ্জ) এবং নালিকাটা (দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড়, মেঘালয়) – সায়দাবাদ (তাহিরপুর, সুনামগঞ্জ) এলাকার আরও দুইটি হাট নতুন করে আগামী ১২ মে থেকে চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাট বাস্তবায়ন কমিটি।
বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাতটি সীমান্ত হাট রয়েছে। আরও ৯টি নতুন সীমান্ত হাট চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে। হাটগুলো মূলত দুই দেশের মধ্যে একটি বাজার, যা সীমান্তের উভয় পাশের স্থানীয় বাসিন্দাদের তাদের স্থানীয় পণ্য বাজারজাত ও কেনার সুযোগ করে দেয়।
স্থানীয়দের অভিমত, সীমান্ত হাটগুলো আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য এবং জনগণের যোগাযোগে নতুন মাত্রা যোগ করছে। পর্যালোচনা ও স্থানীয় সমীক্ষা অনুযায়ী, সীমান্ত হাটগুলো স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে নারী ও তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করেছে। এই হাট সীমান্ত জনগণের জন্য আয়ের অতিরিক্ত উৎস হিসেবেও কাজ করছে।
সীমান্ত হাটগুলোতে দুই দেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষি ও উদ্যানজাত পণ্য, ক্ষুদ্র কৃষি ও গৃহস্থালীর পণ্য, গৌণ বনজ পণ্য, তাজা ও শুকনো মাছ, কুটির শিল্পের জিনিসপত্র, কাঠের আসবাবপত্র, তাঁত এবং হস্তশিল্পের বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর