Monday 28 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আসামির নাম না থাকায় এএসপি আনিস হত্যা মামলা ফের তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৭ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৩১

ঢাকা: এজাহারভুক্ত এক আসামির নাম চার্জশিট থেকে বাদ যাওয়ায় এএসপি আনিস হত্যা মামলা ফের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এএসপি আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদের নারাজির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান এ আদেশ দেন।

এবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) আদাবর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর শরীফুল ইসলাম মামলাটি পুনরায় তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এজাহারে জানা যায়— এ মামলার এজাহারে ডা. নুসরাত নামে একজনকে আসামি করা হয়নি। কিন্তু মামলা দায়েরের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন তিনি। তবে চার্জশিটে তার নাম আসেনি। এএসপি আনিসের পরিবারের ধারণা, ডা. নুসরাত ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ জন্য মামলাটি পুনরায় তদন্তের আবেদন করেন আনিসের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

গত ৮ মার্চ এ মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।

চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

বিজ্ঞাপন

আনিসুল করিম মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তাকে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর ওই হাসপাতালের কর্মচারীদের ধস্তাধস্তি ও মারধরে আনিসুল করিমের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হত্যা মামলা করেন।

সারাবাংলা/এআই/একে

এএসপি টপ নিউজ মাইন্ড হাসপাতাল মোহাম্মদপুর

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর