হজের প্রথম ফ্লাইট ৩১ মে, যাত্রীদের ইমিগ্রেশন হবে দেশেই
২৭ এপ্রিল ২০২২ ১৬:২৯
ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দুই বছর পর বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশিরাও সুযোগ পাচ্ছেন হজ পালনের। হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠক থেকে জানানো হয়েছে, এবারে হজ ফ্লাইট শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ধরা হয়েছে আগামী ৩১ মে। আর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। বৈঠক শেষে ব্রিফ করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি শেষ করে আগামী ৩১ মে’র মধ্যে হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো জানিয়েছে। হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) পক্ষ থেকে এবার বিমান ভাড়া কমানোর দাবিও জানানো হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর আমরা হজ করতে পারিনি। এ বছর হজ করার সুযোগ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ যেন নির্বিঘ্নে হজে যেতে পারে, সেজন্য আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেসব সিদ্ধান্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী ৩১ মে প্রথম হজ ফ্লাইট হবে— সেই ধারণা নিয়েই আজ বৈঠকে বসেছি। এবার দুইটি বড় ৭৭৭ বিমানের ডেডিকেটেড ফ্লাইটের মাধ্যমে হজযাত্রীদের বহন করা হবে। বিমান বাংলাদেশের মাধ্যমে ৩১ হাজার হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। আর বাকি যাত্রী সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে।
দেশেই হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন করানো হবে জানিয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি— হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই শেষ করা হবে। সৌদি আরব সরকারের কাছে আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই যে তারা এই সুযোগ আমাদের করে দিয়েছে। বাংলাদেশে হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন শেষ করতে তারা অনেকটা সহযোগিতা করছেন।
তিনি আরও বলেন, সৌদি সরকারের একটি প্রতিনিধি দল এরই মধ্যে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তাদের সঙ্গে সব ধরনের কথাবার্তার মাধ্যমেই সবকিছু চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিমান ভাড়া প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবার আমরা হজ ফ্লাইটের ভাড়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা রাখার কথা চিন্তা করেছি। ভাড়া একটু বেশি, কারণ বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে সব দিক থেকেই যেন সহনীয় হয়, সেসব বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সভায় হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, আমাদের প্রস্তাব ছিল ভাড়া আরও কমানো হোক। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব ছিল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এখন বিমান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার কথা। আমরা মনে করি, ভাড়া আরেকটু কমানো উচিত। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করতে বিমান প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি।
হজের প্রস্তুতি সম্পর্কে হাব সভাপতি বলেন, আমরা মোটামুটি সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি মে মাসের মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করতে পারব।
এ বছর হজের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ৯ জুলাই। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সে তারখ দুয়েকদিন এদিক-সেদিক হতে পারে। হজ সামনে রেখে এ বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন বলে এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর