ইদে বাড়ি যাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ, সড়কে নেই যানজট
২৮ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৫২
গাজীপুর: ইদের বাকী আর মাত্র কয়েক দিন। প্রিয়জনের সঙ্গে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে যাত্রা শুরু করেছেন ঘরমুখো মানুষজন। এতে চাপ বাড়ছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। তবে ইদে বাড়ি ফেরা মানুষের চাপ বাড়লেও স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল।
সকাল থেকে ইদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বাড়ছে মহাসড়কগুলোতে। ইদ ঘনিয়ে এলেই মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় হাজারো মানুষের। এই যানজটের ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই ইতোমধ্যে রওনা দিয়েছেন গ্রামের উদ্দেশ্যে। সাধারণ মানুষ ও পরিবহনের চাপ লক্ষ্য করা গেলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার যানজট নেই বললেই চলে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে জয়দেবপুর থেকে চন্দ্রা ত্রিমোড় পর্যন্ত দুটি ফ্লাইওভার সোমবার (২৫ এপ্রিল) খুলে দেওয়ার পর থেকে কোথাও যানজট নেই বললেই চলে। নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চালক ও ইদে বাড়ি ফেরা মানুষ। নতুন সড়ক চালু হওয়ায় এবার ইদে জয়দেবপুরের ভোগড়া বাইপাস থেকে মির্জাপুরের গোড়াই পর্যন্ত যানজট হবে না এমনটা আশা করছেন চালকরা। তবে দুই ফ্লাইওভারের দুই প্রান্তে বালু আর পাথর দিয়ে কাজ করায় বৃষ্টি হলে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাবে, যা গাড়ি চলাচলে ধীরগতি তৈরি করতে পারে।
গাজীপুরে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার শিল্প-কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ শ্রমিক। এদের মধ্যে প্রায় সবাই ইদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন। বৃহস্পতিবার থেকে এসব কারখানা পর্যায়ক্রমে ছুটি হওয়ার কথা রয়েছে।
সব শিল্প-কারখানা ছুটি হলে গাজীপুরে মানুষের চাপ অনেকাংশে বেড়ে যাবে। সৃষ্টি হতে পারে যানজটের। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভাড়াও বৃদ্ধি করতে পারে পরিবহন শ্রমিকরা। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি তদারকি দাবি ইদে বাড়ি ফেরা মানুষের।
সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া ইসফিয়া জাহান ইরা জানান, ইদের দুয়েকদিন আগে বাড়ি যেতে চাইলে অনেক ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়। তাই এবার আগেই চলে যাচ্ছি। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় এবার কোথাও তেমন যানজট নেই।
রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা হওয়া রায়হান আহমেদ জানান, আগে থেকেই টিকিট কেটে রেখেছি। নয়তো এখন টিকিট পাওয়া সম্ভব না এবং টিকিট পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে। মানুষের চাপের তুলনায় সড়কে গাড়ি কম। লোকাল বাসে কিছু জায়গায় এখনি অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। প্রশাসনের উচিৎ বিষয়গুলো নজরদারি করা।
পরিবহন চালক শফিক রহমান জানান, গাজীপুরে দুটি ফ্লাইওভার ইদের আগে খুলে না দিলে যানজটে পড়ে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। যাত্রীদের পাশাপাশি আমাদেরও অনেক কষ্ট করতে হতো। যমুনা সেতু ঠিকভাবে পার হতে পারলেই আর কোনো চিন্তা নেই।
সারাবাংলা/এসএসএ
টপ নিউজ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক যানজট