Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পাটুরিয়া ঘাটে স্বস্তির ইদযাত্রা, অলস সময় কাটাচ্ছে ফেরি

রিপন আনসারী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৮ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৪৫

মানিকগঞ্জ: সকালে চাপ থাকলেও দুপুর থেকে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল না পাটুরিয়া ফেরি ঘাটে। তিন-চার ঘণ্টায়  ছোট-বড় সব মিলিয়ে হাজারের বেশি যানবাহন ফেরি পারাপার হয়। তবে দুপুর ১টা বাজতে না বাজতেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। যানবাহনশূন্য হয়ে পড়ে পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকা। অথচ ঘাট কর্তৃপক্ষের মতে, বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে ইদের আগের দিন পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ থাকার কথা ছিল। দিনভর পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ না থাকায় অলস সময় কাটিয়েছে ২০টি ফেরি।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার দুপুরে সরজমিনে পাটুরিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সুনসান নীরবতা। যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য ২০টি ফেরি ঘাটে চলাচল করছে। চাপ না থাকায়  রাজধানী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কোনো পরিবহনকেই পাটুরিয়া ঘাটে মিনিট দশেকের বেশি অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসসহ ছোট-বড় যেসব গাড়ি ঘাটে এসেছে, সেগুলোকে কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই অনায়াসে ফেরিতে উঠে দৌলতদিয়া হয়ে যে যার গন্তব্যে চলে যেতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

যশোরের যাত্রী মিজানুর রহমান বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। ঘাটে এসে কোনো ধরনের যানজটে পড়তে হয়নি। ভেবেছিলাম ঘাটে এসে কতই না ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। আজকের ভাবনাটা ভুল প্রমাণিত হলো। স্বচ্ছন্দ্যে ফেরি পার হতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আশা করছি সময়মতো বাড়ি পৌঁছাতে পারব।

যশোরের আরেক যাত্রী সালমা বেগম বলেন, পাটুরিয়া ঘাটে এসে এভাবে সবকিছু স্বাভাবিক পাব— সেটি কল্পনাও করিনি। ইদের আগে আজকের এই জার্নিটা খুব ভালো লাগল। এর আগে কোনো ইদেই এভাবে এত নির্বিঘ্নে ফেরি পারাপার হতে পারিনি। এর আগের ইদগুলোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে অপেক্ষার পর এক ধরনের যুদ্ধ করে ফেরি পার হতে হয়েছে।

ফরিদপুরের তসলিম মিয়া জানান, সকাল ১০টায় গাবতলী থেকে রওনা দিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় পাটুরিয়া ঘাটে পৌঁছান। ঘাটে দেখেন সবকিছু ফাঁকা। তিনি বলেন, ‘আমি যে গাড়িতে এসেছি, তারা টিকিট কেটে সোজা ফেরিতে উঠে পড়ল। কোনো ধরনের দুর্ভোগে পড়তে হলো না।’

বাসচালক নিজাম উদ্দিন বলেন, ইদের আগে এভাবে ঘাট ফাঁকা পাব, ভাবতে পারিনি। এতে আমরা চালকরাও খুশি এবং যাত্রীরাও খুশি।

তবে ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাটে ছোট-বড় যানবাহনের বেশ চাপ ছিল। এই সময়ে সাত থেকে আটশ প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ঘাট পার হয়েছে। এর সঙ্গে ছিল দুই-আড়াইশ যাত্রীবাহী বাস। শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাকও ফেরি পারাপার হয় এই সময়ে।

জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি’র ডিজিএম শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে পাটুরিয়া ঘাটে যানবহন ও যাত্রীর বেশ চাপ ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুরের দিকে ঘাট কার্যত ফাঁকা হয়ে যায়।’

যাত্রী  ও যানবাহন পারাপারের জন্য মোট ২০টি ফেরি চলাচল করছে বলে জানান খালেদ নেওয়াজ। ইফতারের পর ফের যানবাহনের চাপ বাড়তে পারে— এমন ধারণা করছেন তিনি।

এদিকে, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ৩৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। সেখানেও যাত্রীর চাপ কম।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দিনভর ঘাট স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর যানবহন ও যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকবে। এছাড়া শুক্রবার সকাল থেকেই ফের যানবাহনের চাপ পড়তে পারে পাটুরিয়া ঘাটে— এমনটিই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সারাবাংলা/টিআর

ইদযাত্রা পাটুরিয়া ফেরি ঘাট ফেরি পারাপার

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর