ঢাকা: প্রয়াত ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এসময় প্রয়াত এই ক্রিকেটারের স্ত্রী, সন্তান, মা ও ভাইসহ উপস্থিত পরিবারের সদস্যদের সহমর্মিতা জানান মেয়র। একইসঙ্গে একজন সদস্যের মতোই রুবেলের পরিবারের সঙ্গে থাকার অঙ্গীকারও করেন মেয়র।
শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর বারিধারায় প্রয়াত ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেলের বাড়িতে যান ডিএনসিসি মেয়র। পরে মেয়র উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, রুবেলের ছেলে রুশদান রুবেলের শূন্যস্থান পূরণ করে এই জাতির জন্য অবদান রাখবে বলে আমি আশা করি। আমি এই পরিবারের একজন সদস্যের মতো অভিভাবক হিসেবে সবসময় পাশে থাকব এবং সিটি করপোরেশন এই পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতা করবে।
মেয়র আতিকুল বলেন, রুবেল বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি খেলাধুলার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। রুবেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্লু ও গোল্ড মেডেল অর্জনসহ অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন। সর্বোপরি রুবেল একজন নম্র-ভদ্র ও ভালো মানুষ ছিল। তার মৃত্যুতে আমরা বাংলাদেশের একটি সম্পদ হারিয়েছি।
ঢাকা উত্তর সিটির এই মেয়র আরও বলেন, ওমরা পালনে পবিত্র নগরি মক্কায় অবস্থানের সময় আমি রুবেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়েছি। পরিবারের চাওয়া অনুযায়ী বনানী কবরস্থানে রুবেলের মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা দিয়েছি।
রুবেলের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রুবেলের কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য তার স্ত্রীর আকুতি জানিয়েছেন। আমি মক্কায় থাকাকালীন সেটি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছি। আজ আমি রুবেলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করে জানাতে এসেছি, রুবেলের কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণে দ্রুতই সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইদুল ফিতরের পরই বোর্ড সভায় কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের বিষয়টি অনুমোদন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
মেয়র রুবেলের শিশুপুত্র রুশদানের সঙ্গে গল্প করে কিছু সময় কাটান এবং তাকে কিছু উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। এসময় রুবেলের স্ত্রী চৈতি ফারহানা মেয়রকে ধন্যবাদ জানান তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল গত ১৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। ‘হোম অব ক্রিকেট’খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে রুবেলকে দাফন করা হয় বনানী কবরস্থানে।
২২ এপ্রিল রুবেলের স্ত্রী চৈতি ফারহানা রূপা স্বামীর কবর জিয়ারত করতে এসে কবর স্থায়ী করার জন্য সহায়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও মেয়রের কাছে আবেদন জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক বিবেচনায় কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিএনসিসি।