এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে উচ্ছেদের অভিযোগ
২৯ এপ্রিল ২০২২ ২১:৫৩
ঠাকুরগাঁও: সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বড় বালিয়া জোদ্দারপাড়া গ্রামে নিয়ম না মেনে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশনা ছাড়াই ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করা আব্দুস সালামসহ স্থানীয়দের বাড়িঘর, মিল, চাতাল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসন বলছে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
জেলা শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন। ভূল্লী-গড়েয়া রাস্তার পাশেই বড় বালিয়া জোদ্দার পাড়া গ্রাম। ২০০ গজ দূরে পিচঢালা রাস্তার পাশেই সিএস রেকর্ডে আকাঁবাকা রাস্তা থাকলেও দেখে যেন মনে হয় ফসলের মাঠ। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেনের বাড়ি এই গ্রামেই। তার বাড়িতে চলাচলের রাস্তা থাকলেও, ছিল না বড় ধরনের গাড়ি প্রবেশের সুযোগ। আর সেই রাস্তা দখল মুক্ত করতে ২০২১ সালে সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেন তিনি।
অপরদিকে মুসা চৌধুরী দখল ধরে রাখতে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন, যা আদালতে বিচারাধীন।
ভূক্তভোগী মুসা চৌধুরী জানান, গত ১২ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমানের নেতৃত্বে বুলডোজার দিয়ে ঘরবাড়ি ও স্থাপনা ভেঙে ও গুঁড়িয়ে দেওয়া। এসময় আমার ছেলে আব্দুল জব্বার আদালতের নির্দেশনা দেখতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘হটাও তোমাদের আদালত, আমরাই তোমাদের আদালত।’ পরে জব্বারকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং ১ সপ্তাহের জন্য কারাগারে পাঠান।
বালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এখানে ব্রিটিশ আমলে রাস্তা ছিল, আমরা দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ ছিলাম। জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দফতরের দ্বারস্থ হই। তারা এসে আইনানুগ ভাবে স্থাপনাগুলো ভেঙে দেয়।’
তবে এই ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান।
আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, ‘আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় স্থাপনা ভাঙা যায় না। সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহরিয়ার রহমান ভূক্তভোগীদের কাছে আদালত সম্পর্কে যে সমস্ত কথা বলেছেন, তা আদালত অবমাননার সামিল। এতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুবুর রহমান, ‘উচ্ছেদ একটা চলমান প্রক্রিয়া, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এখানে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিন্তা করা হয়নি।’
সারাবাংলা/এমও