Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিলেটের পথে মুহিতের মরদেহ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৩০ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৫১

ঢাকা: সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের মরদেহবাহী ফ্রিজিং ভ্যান নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা করা হয়েছে। শনিবার (৩০ এপ্রিল) গুলশানে প্রথম জানাজা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ শহিদ মিনারে নিয়ে আসা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মরদেহ তার বনানীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়।

শহিদ মিনারে রাষ্ট্রপতির পক্ষে মুহিতের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কবীর আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান আর্মস ফোর্স কমান্ডার এম নাইম রহমান।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ, আব্দুর রাজ্জাক, আসাদুজ্জামান নূর, মতিয়া চৌধুরী, নুরুল ইসলাম নাহিদ।

এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, কাজী জাফরউল্লাহ চৌধুরী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের পক্ষ থেকে শারমিন রিনবীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানান।

শ্রদ্ধা শেষে শহীদ মিনার থেকে তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নিয়ে যাওয়া হয় দ্বিতীয় জানাজার জন্য। সেখান থেকে তার মরদেহ নিয়ে সিলেটের উদ্দেশে রওনা করা হবে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৮৮ বছর বয়সী মুহিত বার্ধক্যসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি একাধারে ছিলেন ভাষাসৈনিক, অর্থনীতিবিদ লেখক।

সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা আবুল মাল আবদুল মুহিত তৎকালীন পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দফতরে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে অর্থনীতি ও উন্নয়ন নিয়ে গবেষণায় নিযুক্ত হন। এসময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার হয়ে কাজ করেন তিনি। পরে ২০০১ সালে তিনি যোগ দেন রাজনীতিতে। পরের বছরই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। আমৃত্যু দলের সেই পদে বহাল ছিলেন তিনি।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুহিত। এসময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরে ২০১৪ সালেও সংসদ সদস্য এবং টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে জাতীয় সংসদে টানা ১০টি বাজেট উত্থাপনের অনন্য রেকর্ড গড়েন আবুল মাল আবদুল মুহিত। একটানা এত বেশি বাজেট দেশের ইতিহাসে আর কোনো অর্থমন্ত্রী পেশ করতে পারেননি। এর আগে এরশাদ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবেও দুইটি বাজেট পেশ করেছিলেন মুহিত। সব মিলিয়ে তার উত্থাপন করা বাজেটের সংখ্যা ১২টি। এটিও সর্বোচ্চ বাজেট উত্থাপনের রেকর্ড। তবে বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানও ১২টি বাজেট উত্থাপন করেছেন সংসদে।

সারাবাংলা/জিএস/এসএসএ

টপ নিউজ সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর