‘এখন একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১৫ কেজি চালের দামের সমান’
১ মে ২০২২ ১৬:১০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশে এখন একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ১৫ কেজি চালের দামের সমান বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। রোববার (১ মে) দুপুরে তথ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর পাড়ের বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পহেলা মে, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন। এই বাংলাদেশে শ্রমিকদের অধিকার দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে, ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শ্রমজীবী মানুষের আয়-উন্নতি বেড়েছে। আশির দশকে স্লোগান হতো- শ্রমিকের মজুরি হতে হবে সাড়ে তিন কেজি চালের মূল্যের সমান। অথচ এখন শ্রমিকের মজুরি ১৫ কেজি চালের মূল্যের সমান উন্নীত হয়েছে। চট্টগ্রামে এখন ৭০০-৮০০ টাকার নিচে কোনো শ্রমিক পাওয়া যায় না। ঢাকায়ও তাই, উত্তরবঙ্গে কিছুটা কম। একজন রিকশাওয়ালা-ভ্যানচালক ভাই আগে যদি একদিন বাহন না চালাতো, তার চুলায় আগুন জ্বলতো না। এখন একজন রিকশাওয়ালা ভাই যদি মনে করেন আজ বাহন চালাবো, আগামীকাল চালাবো না, সেটি তার পক্ষে সম্ভব।’
‘করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভোজ্যতেলের দাম ইউরোপে ৫০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যপণ্যের দাম ইউরোপে ৪০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাজ্যে খাদ্যপণ্যের দাম ২৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে সুপার মার্কেটে নানা ধরনের খাদ্যপণ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশে সেটি হয়নি। অনেকে বক্তব্য দেন, কিন্তু বিশ্ব প্রেক্ষাপটের দিকে তাকান না। বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও আমাদের দেশে জীবনযাত্রা নির্বিঘ্ন আছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠন করার আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ছিল ১ হাজার ৬৫০ টাকা, এখন সেটি ৮ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে। পাটকল শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ছিল মাত্র ৯৬০ টাকা, এখন সেটি উন্নীত হয়েছে ৮ হাজার ৩০০ টাকায়। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এভাবে বিভিন্ন সেক্টরে শ্রমিকদের মজুরি ৬ থেকে ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে শ্রমিকদের চিকিৎসা, যাতায়াত, বাড়িভাড়া, গার্মেন্টস শ্রমিকদের দুপুরের টিফিনের ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন ভাতা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের সরকার নিশ্চিত করেছে।’
ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি- দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, সেসময় শ্রমিকরা যখন অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করেছে, তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আদমজীর শ্রমিকরা যখন আন্দোলন করেছে, তখন কি করেছে সবাই জানে। কৃষকরা যখন সার ও কৃষি উপকরণের জন্য আন্দোলন করেছে, তখন তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনও ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এমও