Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এ যেন এক অচেনা শহর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ মে ২০২২ ২০:০৮

ঢাকা: যাত্রাবাড়ী থেকে গাবতলী, উত্তরা থেকে ফার্মগেট। মতিঝিল থেকে ধানমন্ডি, কিংবা গুলশান- যেখানেই যান সময় লাগবে মাত্র কয়েক মিনিট। মাত্র দুয়েক দিন আগেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকেও গন্তব্যে পৌঁছানো যেখানে ছিল রীতি মতো ত্রাহি অবস্থা, সেই রোজকার ব্যস্ত নগরী বলতে গেলে এখন ফাঁকা। রাজধানীর কোনো সড়কেই নেই গাড়ির সঙ্গে গাড়ি লেগে থাকার চিত্র, নেই প্রতিদিনের ভিড়, যানজট। ঠেলাঠেলি করে ফুটপাথে হাঁটতেও হয় না। এ যেন এক অচেনা শহর। ফলে স্বস্তিতেই কাটছে অনেকের নাগরিক জীবন।

রোববার (১ মে) রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে এমন চিত্রই দেখা গেছে। এবার ইদের ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক দু’দিন ছুটির সঙ্গে মে দিবস মিলিয়ে তিন দিন বাড়তি ছুটি পাওয়ায় অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে আগে-ভাগেই ঢাকা ছেড়েছেন। ফলে রাজধানীর সড়ক থেকে মানুষের চাপ কমার সঙ্গে সঙ্গে কমেছে গাড়ির চাপও। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে বাসের সংখ্যা অনেক কম। যারা বেরিয়েছেন তাদের ব্যক্তিগত গাড়িতেই বেশি ঘুরতে দেখা গেছে।

এদিন রাজধানীর আসাদগেট, মানিকমিয়া অ্যাভিনিউ, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, কারওয়ান বাজার, নিউ মার্কেট, মিরপুর রোড এলাকায় গাড়ির সংখ্যা কম ছিল। কোথাও কোথাও একেবারেই ফাঁকা দেখা গেছে। যানবাহনের সংখ্যা কম থাকায় ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরাও দীর্ঘদিন পর পুলিশবক্সে একটু বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ফার্মগেট পুলিশ বক্সে থাকা সদস্যদের অনেকটা গল্প করেই সময় কাটাতে দেখা গেছে।

সড়কে গাড়ির চাপ কম থাকায় প্রধান সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে বেশ। মতিঝিল থেকে শাহবাগে রিকশায় যাচ্ছেন আনোয়ার হোসেন। তিনি সারাবাংলাকে বললেন, ‘দীর্ঘদিন পর যাতায়াতে অনেক স্বস্তি পাচ্ছি। নিঃশ্বাস নিতে পারছি। নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি রেখে রিকশায় শাহবাগ যাচ্ছি। ভীষণ ভালো লাগছে।’

মতিঝিল থেকে মিরপুরে ছেড়ে যাওয়া বিকল্প বাসের চালক মোর্শেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এক টানে মিরপুর থেকে মতিঝিলে পৌঁছে গেছি। কোনো জ্যাম নেই। এরকম তো সব সময় থাকে না।’ নিউ ভিশন গাড়ির যাত্রী সাবিনা বলেন, ‘করোনার পর স্বস্তিদায়ক ভ্রমণ করতে পারছি। জ্যামের কারণে আগে বাসে উঠতাম না সহজে।’

এদিকে আজ রাস্তাঘাটের মতো শপিং মলগুলোতেও ভিড় কম ছিল। তবে বাস, ট্রেন লঞ্চ টার্মিনালগুলোতে তুলনামূলক এখনো মোটামুটি ভিড় লেগে আছে। এর মধ্যে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ ছিল। এদিন সবচেয়ে বড় এই স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৪৬টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, শিল্প কারখানা দেরি করে ছুটি হওয়ায় ট্রেনে যাত্রীর চাপ লেগেই ছিল।

এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে যাওয়া মহাখালী বাস টার্মিনাল ছিল অনেকটাই ফাঁকা। বাসগুলোর টিকিট বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এবার আগে ছুটি পড়ে যাওয়ায় মানুষ বৃহস্পতি ও শুক্রবারেই চলে গেছে। এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালে শনিবার যেরকম যাত্রী দেখা গেছে রোববার (১ মে) তার থেকেও কম ছিল। যাত্রাবাড়ী, সায়েবাদেও যাত্রীদের চাপ কম থাকায় বাসের সংখ্যাও কম দেখা গেছে। তবে লঞ্চে মোটামুটি যাত্রী সংখ্যা দেখা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সবশেষ শুক্রবারেই যাত্রীদের বড় চাপ বিদায় হয়েছে।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষা আগামী মঙ্গলবার (৩ মে) পবিত্র ইদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

অচেনা ইদ ছুটি টপ নিউজ শহর


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর