ঢাকা: টানা পাঁচ দিন ধরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের যে চাপ ছিল তা আজ সোমবার (২ মে) একেবারে নেই বললেই চলে। সকালে কিছুটা ভিড় দেখা গেলেও দুপুর গড়াতেই তা কমে গেছে। প্রতিটি রুটের ট্রেনও যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে গেছে। এদিকে আগামী ৪ মে চলাচলের জন্য টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। তাই অনেকটা ভিড় দেখা গেছে টিকিট কাউন্টারে।
সোমবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, অন্য পাঁচ দিনের তুলনায় প্রতিটা প্লাটফর্মে যাত্রীসংখ্যা একেবারেই কম। যাদের দেখা গেছে তারা রাস্তা ফাঁকা থাকায় ট্রেন ছাড়ার বেশ আগেভাগে চলে আসায় গল্প করেই সময় কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ স্টেশনে এসেই টিকিট কেটে ভ্রমণ করছেন। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী ছিল না ট্রেনগুলোতে।
যাত্রীসংখ্যা কম থাকলেও প্রত্যেক যাত্রীকে চেকআপ করে প্লাটফর্মে পাঠাচ্ছেন নিরাপত্তাকর্মীরা। কেউ টিকিট ছাড়া ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করলেন কি না, আবার এমনিই প্লাটফর্মে ঘুরতে ঢুকছেন কি না এসব কঠোরভাবেই চেক করা হচ্ছে।
এদিকে ইদের ফিরতি টিকিট বিক্রি চলছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাউন্টারগুলোতে। আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর প্রতিটি টিকিট কাউন্টারে ভিড় দেখা গেছে। তবে কোনো টিকিট প্রত্যাশীকে দীর্ঘ সময় কাউন্টারে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়নি। তারা জানিয়েছেন, আগামী ৪ মে ভ্রমণের জন্য টিকিট সংগ্রহ করতে আসছেন। ইদের অগ্রিম টিকিট কাটতে এসে যে যুদ্ধ করতে হয়েছে তা হচ্ছে না ফিরতি টিকিট সংগ্রহের ক্ষেত্রে। তবে সকালের দিকে সার্ভার ডাউন থাকায় টিকিট দিতে বেশ দেরি হয়। এসময় লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ছোটখাটো কথা কাটাকাটি হতেও দেখা গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে।
এ প্রসঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারওয়ার জানান, এবারের মতো এমন ইদযাত্রা এর আগে কখনো হয়েছে বলে মনে হয় না। এবার যাত্রীদের ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে রেলওয়ে যেসকল উদ্যোগ নিয়েছে তার সবগুলোই সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা গেছে। এবার রেলপথে যাত্রীদের ইদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পেরেছে রেলওয়ে। তিনি বলেন, এবার ছুটি আগে ভাগে হওয়ায় মানুষ বাড়ি চলে গেছে। যে কারণে এখন যাত্রীদের চাপ কমে গেছে।
উল্লেখ্য, ইদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনে ইদযাত্রা। ওইদিন থেকেই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। অগ্রিম টিকিটের ভিত্তিতে ইদযাত্রার ট্রেনগুলো ছেড়ে গেছে রোববার পর্যন্ত। এবার ইদ পালিত হবে মঙ্গলবার (৩ মে)।