গাছে বেঁধে মারধর: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস তথ্যমন্ত্রীর
২ মে ২০২২ ১৬:৩৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্মমভাবে মারধরে আহত আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি এই হামলাকে ‘ন্যাক্কারজনক’ উল্লেখ করে বলেছেন, দুর্বৃত্তদের জায়গা আওয়ামী লীগে হবে না।
সোমবার (২ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জিতেন কান্তি গুহকে দেখতে যান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
জিতেন কান্তি গুহ হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। গত শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ব্রাহ্মণঘাটা গ্রামে গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়। গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় জিতেনের রক্তাক্ত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোলপাড় তৈরি হয়।
জিতেন কান্তি গুহকে ‘হামলার নির্দেশদাতা’ হাইদগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা মোহাম্মদ জসিম ও তার ছেলেকে পরদিন পুলিশ গ্রেফতার করে। গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে জসিম হাইদগাঁও ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত হন।
জিতেনকে দেখতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বি এম জসিমকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিতেন গুহ আমাদের দলের একজন পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আজকের পর্যায়ে এসেছেন। তার ওপর যে হামলা হয়েছে সেটি শুধু নিন্দনীয় নয়, এটি জঘন্য। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের দলের সব নেতাকর্মীরা জিতেন গুহের সঙ্গে আছে।’
‘আমাদের দলে এই ধরনের দুষ্কৃতকারীদের (হামলাকারী) কোনো স্থান নেই। যারা এ ধরনের দূর্বৃত্ত আছে, দলের নাম ভাঙিয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে, দলের নাম ভাঙিয়ে দলের পরীক্ষিত নেতাদের নিগৃহীত করে, তাদের কোনো জায়গা আমাদের দলে নেই। এ ঘটনার অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। চেয়ারম্যান বি এম জসিম গ্রেফতার হয়েছে। আশা করি ঘটনায় জড়িত সবাই দ্রুত গ্রেফতার হবে।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির সভাপতি জেলা পরিষদের প্রশাসক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ খ ম শামসুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ উল্লাহ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর