ঠাকুরগাঁও: রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার। ট্রেনে টিকেট কালোবাজারি বন্ধে এনআইডি’র মাধ্যমে টিক্রেট বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার টিকেট সে ব্যবহার করতে পারবেন। এর বাইরে যদি কেউ ব্যবহার করতে যায়, তাহলে ধরে নেওয়া হবে আপনি কোনো টিকেট করেননি, এতে জরিমানা করা হবে। আবার জরিমানাসহ টিকেট করতে হবে।’
সোমবার (২ মে) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ে রেল স্টেশন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। টিকেট কালোবাজারির যে অভিযোগ রয়েছে তা বন্ধ করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
রেলওয়ের নতুন সংযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘যেহেতু মিটার গেজ রিপ্লেস করা হয়েছে পূর্বাঞ্চলে। সেজন্য দোলনচাঁপা ট্রেনটি ঈদের আগে সংযোগ করা সম্ভব হয়নি। যেটা পঞ্চগড়ের সঙ্গে রংপুরের সংযোগ করার কথা ছিল। ইদের পরে সেটা করা সম্ভব হবে।’
ফুটওভার ব্রিজ প্রসঙ্গে ইসলাম বলেন, ‘সেটা ট্রেন্ডার হয়েছিল, কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কেউ সিডিউল ড্র করেনি। সেটা পুনরায় রিটেন্ডার করা হবে। রেলওয়ে এবং যাত্রী সেবার জন্য যেটুকু প্রয়োজন সেটুকু করা হবে।’
রেলওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন উচ্ছেদ করা দেয়াটাই সমাধান নয়, কারণ যেখানে একজন মানুষ একটি দোকান করে তার পরিবার চলছে। তাকে উঠায় দিলে সমাধান নয় সে জন্য পরিকল্পিত ভাবে একটা উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে যাচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
কথা প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নোংরা পরিবেশ নিয়ে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালের থেকে রেল স্টেশন অনেক পরিস্কার। সাংবাদিকদের চোখ আরও ভালো হওয়ার কথা, কিন্তু আপনারা (উপস্থিত সাংবাদিকরা) আমাকে হতাশ করেছেন। হাসপাতালে সবাই যায়, হাসপাতালের যে নোংরা পরিবেশ আমি দেখে এলাম, তা হাসপাতালের পরিবেশ হতে পারে না।’
এই অপরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘এটা আপনাদের ব্যর্থতা, সাংবাদিকদের ব্যর্থতা।’
মন্ত্রী দেশবাসী, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় এই এলাকার মানুষকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান, পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নজমুল হুদা শ্যাহ, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুজাহিদুর রহমান শুভ, সাধারণ সম্পাদক আবু ওয়াফু তপু সহ দলীয় নেতাকর্মীরা।