শপিং শেষ, মধ্যরাতে ভিড় পার্লার-সেলুনে
৩ মে ২০২২ ০০:১২
ঢাকা: রাত পোহালেই ইদ। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ইদ আনন্দ উপভোগ করতে এরইমধ্যে কেনাকাটা শেষ করেছেন সকলে। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাত পর্যন্ত ভিড় দেখা গেছে পার্লার-সেলুনগুলোতে।
সোমবার (২ মে) রাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিউটি পার্লার খোলা থাকতে দেখা গেছে। পাশাপাশি সেলুনগুলোতেও সব বয়সী নারী-পুরুষদের উপচে পড়া ভিড় ছিলো।
পার্লারগুলোতে চুল কাটা, ভ্রু প্ল্যাক, ফেসিয়াল, স্পা, পেডিকিউর, মেনিকিউর করছেন নারীরা। নারীদের পাশাপাশি পুরুষেরা রূপচর্চায় পিছিয়ে ছিলেন না। তারাও চুল কাটা, দাড়ি কাটা, ফেসিয়াল, চুল দাড়ি কালার করাতে ভিড় জমিয়েছেন সেলুনগুলোতে।
রাজধানীর মৌচাক এলাকায় মার্কেটের পাশেই ‘নাইস লুক’ বিউটি পার্লার। যারা মৌচাক মার্কেটে শপিং করেছেন তাদের জন্য উপযুক্ত জায়গা। শপিং শেষ করেই পার্লারে ঢুকে পড়েছেন। এদিকে বছরের অন্যান্য দিন যেমনই থাকুক ইদ উপলক্ষ্যে প্রথম রোজা থেকে প্রস্তুতি ছিলো পার্লারেও।
সোমবার (২ মে) রাতে দেখা গেলো ‘নাইস লুকে’ কেউ এসেছেন ফেসিয়াল করতে, কেউ চুল কাটতে আবার মেনিকিউর, পেডিকিউর করাতে। কারণ হাতে যে সময় নেই আর।
পার্লারের মালিক মাহমুদা আক্তার হেমন্তি সারাবাংলাকে জানান, তিনি সবসময়ই অভিজ্ঞ বিউটিশিয়ান দিয়ে ক্রেতাদের সেবা দিয়ে থাকেন। সবসময় সেবার মান বজায় রাখার চেষ্টা করেন। রোববারও রাতভর কাস্টমার ছিলো পার্লারে। চাঁদরাতে ইফতারের পর কিছুটা কম থাকলেও পরে আসতে শুরু করেছেন।
রাজধানীর কাকরাইলে পারসোনা, ওমেন্স ওয়ার্ল্ডেও ছিলো ভিড়। তাদের নিয়ম অনুযায়ী পে ফাস্ট। দেখা গেছে ওয়েটিং রুম পরিপূর্ণ হয়ে আছে কাস্টমারে। ওমেন্স ওয়ার্ল্ডেও ভিড় দেখা গেছে। সেখানের বিউটিশিয়ান ওয়াহিদা রহমান জানান, এখন মূলত চুল কাটা আর ফেসিয়ালের কাস্টমার বেশি আসছে। এর আগে স্পা, মেনিকিউর পেডিকিউর কাজগুলো বেশি হয়েছে।
পার্লারের পাশাপাশি সেলুনগুলোতেও রাত পর্যন্ত ভিড় লেগে ছিলো। মৌচাকে ‘লুট অ্যাট মি’ সেলুনের কর্মী শাহাদাত হোসেন জানান, সারারাত খোলা থাকবে সেলুন। মানুষ সারারাতই আসবে। চুল, দাড়ি কাটা, কালার করার পাশাপাশি ফেসিয়াল করছেন বেশিরভাগ।
উল্লেখ্য, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর আনন্দে ইদ করতে পারেননি কেউ। তাই এবার ইদে উৎসবের আমেজটা একটু বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদিকে গত দুই বছর ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের চলে বাড়তি চেষ্টা।