এবার ফেরার পালা
৫ মে ২০২২ ১১:২৮
ঢাকা: টানা ছয় দিনের ইদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। বৃহস্পতিবার (৫ মে) সরকারি অফিস-আদালত খুলে যাওয়ায় সকাল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন প্রবেশ পথে ছিল ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। যথারীতি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনেও ঢাকামুখী মানুষের স্রোত দেখা গেছে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূল স্রোত আসবে আরও দুই দিন পর।
এবার সাপ্তাহিক দুই দিন ছুটির সঙ্গে মে দিবস মিলিয়ে ইদের ছুটি কাটানোর সুযোগ পাওয়া গেছে টানা ছয় দিন। সেই সঙ্গে যে সকল সরকারি কর্মকর্তারা একদিন ঐচ্ছিক ছুটি নিয়েছেন তারা ছুটি কাটাতে পারবেন টানা ৯ দিন। আর যারা ওই ছুটি পাননি, তাদের বৃহস্পতিবার (৫ মে) অফিসে হাজির হতে হচ্ছে। আর সেজন্যই সকাল থেকে রেলওয়েস্টেশনে ছোটাছুটি।
রাজশাহী থেকে আসা মোয়াজ্জেম হোসেন সরকারী একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তিনি বলেন, অন্য সহকর্মীরা ছুটি নেওয়ায় তিনি ছুটি পাননি। সেজন্য রাতের ট্রেন ধরে সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন। খুলনা থেকে আসা বুলবুল আহমেদ বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। তিনি জানান, একদিন অফিস খোলা, সেজন্য ফিরে আসতে হয়েছে। তবে পরিবার বাড়িতে রেখে এসেছেন। তারা পরে আসবেন।
এছাড়া ময়মনসিংহ, গাজীপুর, টাঙ্গাইলের ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোতে যাদের বাড়ি তারাও সকালে ট্রেনে চেপে এসে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। ময়মনসিংস থেকে আসা হালিম আহমেদ বলেন, অফিস করেই তিনি আবার বিকালে বাসে করে ময়মনসিংহ ফিরে যাবেন। সামনের দুই দিন ছুটি কাটিয়ে রবিবার সকালে ঢাকায় ফিরবেন।
এদিকে ইদের ছুটি ইদ শেষ হলেও আমেজ রয়ে গেছে। এখনো মানুষ নাড়ির টানে বাড়ি ছুটছে। সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা গেলো এখনো মানুষ বাড়ি ফিরছে। রংপুরের যাত্রী সাবিহা আক্তার জানান, প্রেগনেন্ট থাকায় ভিড়ের জন্য ইদে বাড়ি যেতে পারেননি। সেজন্য এখন যাচ্ছেন। লালমনিরহাটের যাত্রী রাসেল জানান, তিনি পুলিশে চাকরি করেন। ইদের সময় ডিউটি করতে হয়েছে। গত রাতে নাইট ডিউটি করে সকালের ট্রেনে বাড়ি যাচ্ছেন।
কমলাপুর রেলওয়েস্টেশনে সকালে ছেড়ে যাওয়ার ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের কোনো চাপ ছিল না বললেই চলে। তবে ফিরে আসার ট্রেনগুলোতে বেশ যাত্রী সংখ্যা বেশি ছিল। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ সারওয়ার জানান, সরকারি কিংবা বেসরকারি অনেকেই বৃহস্পতিবারটা ছুটি নিয়ে রেখেছেন। যেহেতু টানা দুই বছর পর ইদ হচ্ছে। তিনি বলেন, ফিরে আসার চাপ এখনো পড়েনি। এটা হবে আগামী রবিবার। এবার ট্রেনে ইদযাত্রা নির্বিঘ্ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফিরে আসার চাপও ট্রেন সুষ্ঠুভাবেই সামলে নেবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে মঙ্গলবার সারাদেশে উদযাপিত হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ইদুল ফিতর। মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে এর আগের দুই বছর উতসব করে ইদ উদযাপন করতে পারেননি কেউ। সেজন্য এবার ইদে বাড়ি ফেরা বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ