পুরুষাঙ্গ কেটে দেওয়ায় প্রেমিকাকে গলা টিপে হত্যা
৫ মে ২০২২ ২০:০৯
ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে এক পোশাক শ্রমিকের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে কথিত প্রেমিকা। পরে জাহাঙ্গীর গলা টিপে ওই নারীকে হত্যা করেছে। নিহত ওই নারীর নাম শাহিনা আক্তার (২১)।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) বেলা ১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া পাড়া ডগাইর এলাকায় একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ জাহাঙ্গীরকে আহত অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে।
আহত জাহাঙ্গীর আলম জানায়, তার বাসা নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার বাজিরবাগ গ্রামে। সে এবং ওই নারী সোনারগাঁও চৈতি নামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করে। দুপুরে শাহিনা তাকে যাত্রাবাড়ীর এক বাসায় আসতে বলে। সে বাসায় গেলে শাহিনা তাকে একটি রুমে নিয়ে যায় এবং ধারালো চাকু দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এ সময় জাহাঙ্গীর শাহিনার গলা টিপে ধরে।
যাত্রাবাড়ী থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জাহাঙ্গীরকে আহত অবস্থায় পাই এবং ওই নারীকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে জাহাঙ্গীরকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে সে বার্ন ইনস্টিটিউটের অপারেশন থিয়েটারে আছে।’
যাত্রাবাড়ী থানার (পরিদর্শক তদন্ত) আয়ান মাহমুদ দীপ জানান, পোশাকশ্রমিক শাহিনা ও জাহাঙ্গীর দুজনেই বিবাহিত। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের কারণে আজ শাহিনা বাসায় জাহাঙ্গীরকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীর ওই বাসায় যায়। সেখানে হয়তোবা কোনো কারণে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে শাহিনা হয়তো জাহাঙ্গীরের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে। এতে জাহাঙ্গীর ক্ষিপ্ত হয়ে শাহিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এছাড়া শাহিনার মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
তিনি আরও জানান, শাহিনা নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে তার স্বামী রুহুল আমিনের সঙ্গে থাকতো। আর জাহাঙ্গীরের দুই স্ত্রী রয়েছে। বড় স্ত্রী নুরনাহার এক সন্তান নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দর এলাকায় থাকে। জাহাঙ্গীর ছোট স্ত্রী মর্জিনাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁ এলাকায় থাকতো। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, যে বাসায় তারা গিয়েছিল সেই বাসার লোকজন ভয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের খোঁজা হচ্ছে। মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম