Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এপ্রিলে ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স

গোলাম সামদানী, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ মে ২০২২ ২১:৪২

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ২০০ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। এটি আগের ১১ মাসের মধ্যে অর্থ্যাৎ ২০২১ সালের মে মাসের পর এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

এর আগে, গত বছরের মে মাসে ২১৭ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। মে মাসের পর এবার সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো। বাংলাদেশি মুদ্রায় (১ ডলার ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) ১৭ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা। এ ছাড়াও গত মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৬ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘রেমিট্যান্সের ওপর সরকারের প্রণোদনা বেড়েছে। এ ছাড়া পবিত্র রমজান এবং ঈদকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বাড়িয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২/৩ মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী— সদ্যবিদায়ী এপ্রিলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৫ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৬১ কোটি ২৭ লাখ মার্কিন ডলার। এছাড়াও বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার।

বরাবরের মতো এবারই রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪২ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। যা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্থানে রযেছে ডাচ–বাংলা ব্যাংক। এ ব্যাংকের মাধ্যমে রোমট্যান্স এসেছে ২৮ কোটি ২৮ লাখ ডলার। এছাড়াও অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ৫৭ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৮ লাখ ডলার এবং ব্যাংক এশিয়ায় মাধ্যমে ৯ কোটি ৪১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠায়। ফেব্রুয়ারিতে তা কমে ১৭৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারে নেমে আসে। মার্চ থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করে। গত মার্চে ১৯১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, এপ্রিলে ২০৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলার, মে মাস ২১৭ কোটি ১১ লাখ ডলার, জুন মাসে ১৯৪ কোটি ৮ লাখ ডলারে। গত বছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ১৮৪ কোটি ১২ লাখ ডলার।

অন্যদিকে চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জুলাই মাস থেকে নভেম্বর পর‌্যন্ত রেমিট্যান্স প্রবাহ কমতে আবার শুরু করে। গত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার, আগষ্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বরে ১৭২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ ডলার, নভেম্বরে ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, ডিসেম্বরে ১৬২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে রেমিট্যান্স আসে ১৭০.৪৪ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার এবং মার্চে ১৮৬ কোটি ডলার।এপ্রিলে ২০০.৯৫ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে রেমিট্যান্স আসে এক হাজার ৭৩০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

অর্থবছর ভিত্তিক রেমিট্যান্স: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ ২৪.৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮২০ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১ হাজার ৬৩১ কোটি ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলার এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

অন্যদিকে পঞ্জিকা বছর হিসাবে রেমিট্যান্স : ২০২১ সালে করোনার মধ্যেও প্রবাসীরা অতিথের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে রেমিট্যান্স পাঠায় ২ হাজার ২০৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। ২০২০ সালে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।এর আগে ২০১৯ সালে প্রবাসীরা ১ হাজার ৮৩৩ কোটি মাকির্ন ডলার, ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, ২০১৭ সালে ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার এবং ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫৩১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স আসে।

সারাবাংলা/জিএস/একে

বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর