চুরির অভিযোগ ছেলেদের বিরুদ্ধে, বন্দি করে রাখা হলো মায়েদের
৫ মে ২০২২ ২৩:৩৫
কক্সবাজার: পেকুয়ার শিলখালীতে ছেলেদের চুরির অপরাধে দুই মা’কে ৮ ঘণ্টা বন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ওই দুই নারীকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের জিম্মায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) বিকালে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ছেলেরা পানির মোটর চুরি করেছে এমন অপরাধে পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের দক্ষিণের ঝুম গ্রামের আহমদ হোসেনের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩৬) ও মোজাহের মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বাড়ি থেকে সকাল ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে এসে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়।
পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিন্নত আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীদের উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী নারী রাশেদা বেগম জানান, তার ছেলে হুমায়নের বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা অপবাদে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে তিনিসহ অপর এক নারীকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আটকে রাখে।
ভুক্তভোগী নারী মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘চেয়ারম্যান কামাল আমাদের আটকে রেখে মারধরের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিবেন বলে হুমকিও দেন। আমরা চেয়ারম্যানের এমন ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেব।’
শিলখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আহমদ ছবি বলেন, ‘তাদের দুই ছেলে বহু মালামাল চুরি করেছে। তাই চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের মাকে নিয়ে আসা হয়। পরে ২০ হাজার টাকা করে জমা করার জন্য চেয়ারম্যান নির্দেশ দেন। যেটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেখা হয়।’
চেয়ারম্যান কামাল হোসেন বলেন, ‘ছেলেগুলো চোর। তাদের মাকে নিয়ে আসা হয়েছিল ছেলেগুলোকে হাজির করার জন্য। বেঁধে রাখার কথাটা সত্য নয়।’
পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কানন সরকার বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা পূর্বিতা চাকমা বলেন, ‘বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ভুক্তভোগী দুই মা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও