Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২ বছরের ‘বিরতি’ কাটিয়ে সাতছড়িতে পর্যটকদের উপচে-পড়া ভিড়

মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৬ মে ২০২২ ১৮:৫৭

হবিগঞ্জ: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির ধকল কাটিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর ইদুল ফিতরের ছুটিতে হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠছে। পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ইদ আনন্দকে উপভোগ করতে এসেছেন পর্যটকরা। সাতছড়ির অনাবিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে মুগ্ধতার কথা জানাচ্ছেন তারা।

সাতছড়ি কর্তৃপক্ষ বলছে, মহামারি করোনায় দীর্ঘ দুই বছর ঘরবন্দি ছিল মানুষ। জাতীয় উদ্যানটিতেও বলতে গেলে ছিল ‘বিরতি’। এবারে পরিস্থিতি প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসায় পর্যটকদের ঢল নেমেছে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। ইদুল ফিতরের দিন বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। ইদের দ্বিতীয় দিন থেকে বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। সপ্তাহখানেক ধরে পর্যটকদের আগমন অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

জাতীয় এই উদ্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হাজারও দর্শনার্থী নিজেদের মতো করে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবীসহ রয়েছে নিজস্ব গাইড। পাশাপাশি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আসা মিতু নামে এক পর্যটক বলেন, করোনার কারণে দুই বছর ঘর থেকে বের হতে পারিনি। এবারে ইদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে সাতছড়ি এসেছি। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমরা অত্যন্ত মুগ্ধ। প্রকৃতিকে উপভোগ করতে গেলে এখানে আসা উচিত।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক মীর হোসেন বলেন, এখানে না এলে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে পারতাম না। সাতছড়ির গহীন অরণ্যে ঘুরতে গেলে গাইড নিয়ে যেতে হয়। গাইড থাকার কারণে পর্যটকদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সিলেট থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, দীর্ঘদিন পর ইদের ছুটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে এসে অনেক ভালো লাগছে। পরিবারের সবাই মিলে অনাবিল আনন্দ উপভোগ করতে পারছি।

ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা শিক্ষার্থী অর্ণব বলেন, সাতছড়ির অনেক নাম শুনেছি। অনেক দিন ধরেই ইচ্ছা ছিল এখানে ঘুরতে আসব। করোনার কারণে গত দুই বছর সেটি সম্ভব হয়নি। এবারে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। অনেক কিছু দেখতে পারছি।

তবে উপচে পড়া পর্যটকদের ভিড়ে জাতীয় এই উদ্যানের প্রাণীগুলোর দেখা সচরাচর মিলছে না। মানুষের কোলাহলে তারা খানিকটা নিভৃতে অবস্থান করছে। তবে পশু-পাখির দেখা না মিললেও অরণ্যের সৌন্দর্যেই পর্যটকরা আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন।

সাতছড়ি পার্কের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রায় দুই বছর আমাদের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান বন্ধছিল। অনেকদিন পর সাতছড়ি উদ্যান খুলেছে। ইদের ছুটিতে এখন রীতিমতো মুখরিত হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে ইদের মধ্যে সপ্তাহখানেক এই উদ্যানে পর্যটকদের চাপ অনেক বেশি থাকে। এবারও হয়তো আরও কয়েক দিন এমন ভিড় থাকবে পর্যটকদের। তারপর স্বাভাবিক সময়ের মতো পর্যটকদের আনাগোনা থাকবে। তারপর স্বাভাবিক সময়ের মতো পর্যটক থাকবে বলে আশা করছি।

বন বিভাগের সাতছড়ি বিটের ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জার মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। পর্যটকরা যেন নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতে পারেন, তার প্রস্তুতি নেওয়া আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। আশা করি পর্যটকরা সুন্দরভাবে ইদ আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।

সারাবাংলা/টিআর

ইদ আনন্দ ইদ উদযাপন ইদুল ফিতর পর্যটকদের ভিড় সাত ছড়ি জাতীয় উদ্যান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর