মানুষের চাপ দৌলতদিয়ায়, যানজট ছাড়িয়েছে ১৩ কিলোমিটার
৭ মে ২০২২ ১১:২৮
রাজবাড়ী: ইদ কাটিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। শুক্রবার (৬ মে) রাত থেকে শনিবার (৭ মে) ভোর পর্যন্ত কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল অব্যাহত ছিল রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটে। ঘাটের রাজবাড়ী অংশে এরইমধ্যে যানজট ছাড়িয়েছে ১৩ কিলোমিটার। এ ছাড়া গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আরও ৩ কিলোমিটার পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে— ইদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভোগান্তি কমাতে ও নির্বিঘ্নে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের লক্ষে সকাল থেকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ২১টি ফেরি চলাচল করছে।
এর আগে, এই নৌপথে ২০টি ফেরি চলছিল। বর্তমানে ১১টি রো রো (বড়) ফেরি, ৮টি ইউটিলিটি (ছোট) ফেরি, দুটি টানা (ডাম্প) ফেরিসহ মোট ২১টি ফেরি চলাচল করছে। পাশাপাশি ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।
মাগুরা থেকে ঢাকায় আসতে ভোগান্তির কথা জানান মো. ফরহাদ। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
তিনি বলেন, ‘মধ্যরাতে ঘাটে এসেছি। কিন্তু সকাল ৭টায় ফেরির সিরিয়াল পাইনি। আজকেই অফিস করতে হবে এ কারণে বাস থেকে নেমে বিকল্প পথে ঢাকায় যাব।’
ফরিদপুরের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘাটের কোনো নিয়মশৃঙ্খলা নেই। এই ঘাটে গেলে বলা হচ্ছে অন্য ঘাটে যান।’
খুলনা থেকে আসা পোশাককর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শনিবারই গার্মেন্টস খুলছে। তাই আজই তাদের কর্মস্থলে যোগ দিতে হতো।’
অনেক বাস চালক অভিযোগ করেন, বাস-মালিক সমিতির নামে ঘাট এলাকায় ৪০০-৫০০ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে।
শিবালয় বাস মালিক সমিতির সভাপতি আলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এরকম কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ফেরিতে যাত্রীচাপের পাশাপাশি লঞ্চের চিত্র একই। এই নৌরুটে চলাচলকারী ২০টি লঞ্চের প্রতিটির ধারণ ক্ষমতা ১২৫ থেকে ১৭৫ জন; কিন্তু নেওয়া হচ্ছে তার দ্বিগুণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে যাত্রী ধারণক্ষমতা তারও বেশি।
যদিও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লঞ্চঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত, রোভার স্কাউটস কাজ করছে। কিন্তু তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরি চলাচল করছে। দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে প্রাইভেটকার ও যাত্রীবাহীবাস অগ্রাধিকারভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আশা করি বিকেলের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
সারাবাংলা/একে