কেন উৎখাত করতে হবে, আমাদের ব্যর্থতা কোথায়— প্রশ্ন শেখ হাসিনার
৭ মে ২০২২ ১৮:৫৪
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারকে কেন উৎখাত করতে হবে? আমাদের অপরাধ কী? কোথায় আমরা ব্যর্থ হয়েছি— সরকারবিরোধীদের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা-তারেক সবাই মানুষ হত্যা করেছে। জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। জিয়া নির্বাচনে প্রহসন ও ভোট কারচুপির কালচার শুরু করে। আওয়ামী লীগ কখনও ভোটে পেছনে ছিল না। পারসেন্টেজ বেশি ছিল। নানা ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে ভোটে পিছিয়ে রাখা হয়েছে। নানা ষড়যন্ত্রের মাঝেও আমরা এগিয়েছি।’
শনিবার (৭ মে) বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এরপর আওয়ামী লীগ লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া-এরশাদ-খালেদা এদের সময় ক্ষমতা ছিল ক্যান্টনমেন্টে। পাকিস্তানি স্টাইলে মিলিটারি ডিকটেটটরশিপ চালু করেছিল। আমরা পরাধীনদের অনুসরণ করব না। নিজস্বভাবে দেশের উন্নয়ন করব, মাথা উঁচু করে চলব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নেতৃত্ব কোথায়? দুজনই তো সাজাপ্রাপ্ত। এদের সঙ্গে ডান-বাম, অতিবাম এসে যোগ দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগ ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। কখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত দলের সম্মেলন করি। সময় কাছে এগিয়ে এসেছে। এর আগে, কিছু কাজ আমরা করি। ঘোষণাপত্রের অনেক কিছু বাস্তবায়ন করেছি। উন্নয়নের ধারা আরও অব্যাহত রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণকে ধন্যবাদ বারবার ভোট দিয়েছে, টানা তিন বার ক্ষমতায় রেখেছে। অনেক উন্নয়ন হয়েছে। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আমরা চাই গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকুক।’
এ সময় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি।
মানুষ এবার ঈদে নির্বিঘ্ন বাড়ি গেছে ও ফিরছে জন্য যোগাযোগ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ইদ করেছে। উৎসব করেছে। এতে গ্রামে অর্থের সরবরাহ বাড়ে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘গ্রামের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হচ্ছে। আমরা তৃণমূল থেকে উন্নয়ন করছি। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছি।’
সারাবাংলা/এনআর/একে