ফেরিঘাটে যানজটে ভোগান্তি, গাবতলীতে গাড়ির চাপ কম
৭ মে ২০২২ ১৯:০৫
ঢাকা: প্রিয়জনদের সঙ্গে ইদ উদযাপন শেষ করে এখন প্রয়োজনের তাগিদে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। রাজধানীর প্রবেশদ্বারগুলোতে তাই বেড়েছে যানবাহনের চাপ। উপচে পড়া মানুষের ভিড় আর কোলাহলে এসব এলাকায় এখন টিকে থাকা দায়। তবে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ছুটির শেষ দিনে যেখানে ঢাকামুখী মানুষ আর যানবাহনের চাপ থাকার কথা, সে তুলনায় এই টার্মিনালে চাপ কিছুটা কম। যা ভিড় সেটিও বছরের সাধারণ দিনগুলোর মতোই! একজন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এর কারণ হলো ফেরিঘাটে দীর্ঘ যানজট।
যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছে তারা বলেছে, ফেরার পথে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। একারণে গাবতলী টার্মিনালে গাড়ির চাপ কিছুটা কম, সময় যত গড়াবে চাপ ততো বাড়বে।
মানুষের চাপ দৌলতদিয়ায়, যানজট ছাড়িয়েছে ১৩ কিলোমিটার
যাত্রীরা বলছেন, গোয়ালন্দ ঘাটে যানজটের কারণে ঢাকায় ঢুকতে তাদের সাধারণ যাত্রা সময়ের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা সময় বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে। গাড়ির চাপের কারণে ফেরি চলাচল বিলম্ব হচ্ছে।
তারা জানান, ঘাট থেকে কমপক্ষে আট দশ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যানজট তৈরি হয়েছে। একারণে এখনও শনিবার ভোরে আসা গাড়িগুলো ফেরিতে উঠতে পারেনি। একারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পরিবহন চালক, শ্রমিক ও যাত্রীরা।
এমন কি ফেরির লোকজনকেও নিজেদের সাধারণ শ্রমের বাইরে গিয়ে কয়েকগুণ বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে।
ঘাটের ফেরি শ্রমিক জালাল মোবাইল ফোনে জানান, সাতক্ষীরা, যশোর, খুলনা অঞ্চলের সব গাড়ির যাত্রীরা এই ভোগান্তির ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন। ভোরে দৌলতদিয়া পৌঁছানো গাড়ি এখনও ঘাট থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এই জ্যামের কারণে ৬ ঘণ্টার পথ ১৬ ঘণ্টায় পার করতে পারছেন না যাত্রীরা। যার কারণে আগের দিন রাত থেকেই গাবতলী বাস টার্মিনালে যানবাহনের কিছুটা কম।
ঢাকায় পৌঁছানো শরীফ নামে একজন যাত্রী সারাবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল রাত নয়টায় গাড়িতে বসে আজ বিকাল চারটায় পৌঁছলাম। জ্যামের চেয়েও বেশি কষ্ট করেছি গরমে। রাতে একটু বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, তারপর আবার ভ্যাপসা গরম। প্রাণ রাখা দায়। তারপর টয়লেটের সমস্যা তো রয়েছেই।’
শরীফের মতো অন্য যাত্রীদের অভিজ্ঞতা ও অভিযোগও প্রায় এক।
গোয়ালন্দ-পাটুরিয়াসহ অন্য ঘাটেও যাত্রীদের চাপ ও যানজট একইরকম বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সারাবাংলা/টিএস/এমও