ঢাকা: বিরোধীদল তাদের মিছিল-মিটিং সমাবেশ তারা স্বাধীনভাবে করুক। আমাদের তরফ থেকে কোনোপ্রকার বাধা সৃষ্টি করার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৭ মে) রাতে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচন এবং জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে সুশৃংখল, সুসংগঠিত পার্টি হিসেবে আওয়ামী লীগকে দাঁড় করাতে হবে। পরবর্তী নির্বাচনে বিজয়ের জন্য। আর বিরোধী দলের ব্যাপারে বলি, তারা মিছিল-মিটিং সমাবেশ তারা স্বাধীনভাবে করুক। আমাদের তরফ থেকে কোনপ্রকার বাধা সৃষ্টি করার প্রয়োজন নেই। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। বিরোধী দলেও যারা নির্বাচন করবে, তাদের স্বাগতম। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘মূলত পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন, পরবর্তী জাতীয় সম্মেলন এবং জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে সারা বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ প্রোগ্রাম জোরদার করতে হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। দুই তিনটা বিষয় আজকে এখানে এসেছে, নারায়ণগঞ্জ এবং নীলফামারীর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেখানে শোকজ করে নোটিশ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া, কাউকে কাউকে অব্যাহতি দিয়ে শোকজ করতে বলা হয়েছে। এগুলো বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
যারা বিদ্রোহী, কিন্তু দলের পদে আছে সেই সব জায়গায় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করে মেয়াদ উত্তীর্ণ সম্মেলনের কাজ শেষ করতে হবে। মেয়াদ উত্তীর্ণ সব শাখা বিশেষ করে উপজেলা এবং জেলা সম্মেলনগুলোর কাজ শেষ করতে হবে। ইতোমধ্যে চল্লিশটা উপজেলায় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে এবং ৭টির মত জেলায় সম্মেলন ১২ তারিখ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন কবে নাগাদ হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশা করছি, সম্মেলন ডিসেম্বরের শেষ হবে। ডিসেম্বরে আমরা মনে করছি, নেত্রী যখন ডেট দিবেন, ডেট ফিক্সট করবেন, সেভাবেই হবে। এখন থেকেই গঠনতন্ত্র ঘোষণাপত্রকে আপডেট করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী।’
সহযোগী সংগঠনের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা আছেন তারা প্রত্যেক বিভাগের সহযোগী সংগঠনগুলো যাদের দায়িত্ব রয়েছে সেগুলোর খোঁজখবর তারা রাখবেন। সমন্বয় করবেন, এ বিষয়টা বলা হয়েছে। আমি এতো কিছু বুঝি না, সহযোগী সংগঠন হোক আর আমাদের মূল পার্টি হোক, মেয়াদোত্তীর্ণ সব সংগঠনের সম্মেলন জাতীয় সম্মেলনের আগে হতে হবে।’
আওয়ামী লীগ বিভক্তি নিয়ে কখনো নির্বাচনে অংশ নেবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘নীলফামারী ডোমার উপজেলার সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তাকে শোকজ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত দল। মিটিং পরবর্তীতে ঘন ঘন হবে।’
এর আগে, বিকেল সাড়ে পাঁচটার পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।