Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবন্ধু রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করতেন: ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৮ মে ২০২২ ১৭:০৬

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ধারন করতেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রবীন্দ্রনাথের গভীর অনুরাগী ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় বাঙালি গণমানুষ সম্মিলিতভাবে একটি কঠিন সংকটকে উদ্রিয়ে যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছে, এটি বঙ্গবন্ধুর কাছে একটি পরম তৃপ্তির বিষয়। রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করেন বলেই বঙ্গবন্ধু তখন বলেছিলেন, কবিগুরু তুমি দেখো, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি বাঙালি কিন্তু মানুষ হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ অন্য প্রসঙ্গে কথাগুলো বললেও সেদিন বঙ্গবন্ধুর এই কথা দ্বারা তার রবীন্দ্রনাথের প্রতি অনুরাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (৮ মে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী।

উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অনেকেই ধরনের সংকট আছে। সবগুলোর কেন্দ্রবিন্দু হলো মানুষ। কেন্দ্রীয় সংকট মানবতার সংকট একটি পুঞ্জীভূত, একীভূত অথবা অন্তর্ভুক্তিমূলক সংকট। রবীন্দ্রনাথ মানবতার সংকটের কথা বলেছেন।’

বঙ্গবন্ধু ও বিশ্বকবির প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে উপাচার্য বলেন, ‘আমরা আজকে এই দুই মহামানবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। কারণ সকল মহামানবের চিন্তা এক জায়গায় পুঞ্জীভূত হয়। সকল ভালো চিন্তা একটি জায়গায় গিয়ে মিশে। সকল ভালো চিন্তাই শাশ্বত। সৃষ্টিকর্তা যেভাবে শাশ্বত, চিরায়ত; তেমনিভাবে সকল ভালো কাজ, মানবতার উচ্ছ্বাস এগুলোও শাশ্বত।’

বিজ্ঞাপন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৫০ বছর পর আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে আলোচনা সভায় ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী বলেন, ‘মানবতার সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের সহায় রবীন্দ্রনাথ। এ কারণে ১৫০ বছর পরও রবীন্দ্রনাথ প্রাসঙ্গিক। রবীন্দ্রনাথ তার জীবদ্দশায় দুটো বিশ্বযুদ্ধ প্রত্যক্ষ করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তার জীবনাবসান ঘটে। মৃত্যুর আগে সমৃদ্ধ, প্রাজ্ঞ, স্থিত রবীন্দ্রনাথ এই ভয়াবহ আগামীকে প্রত্যক্ষ করেছেন বর্তমানের পটে দাঁড়িয়ে। তিনি দেখেছেন পশ্চিমা বিশ্ব কীভাবে বিজ্ঞানকে ব্যক্তিস্বার্থে, গোষ্ঠিস্বার্থে, রাজনৈতিক স্বার্থে, জাতিগত সংকীর্ণতা থেকে ব্যবহার করেছে।’

তিনি বলেন, ‘পরিবেশ বিপর্যয় মানবতার একটি বড় সংকট। এই সংকট আস্তে আস্তে বড় সংকটে পরিণত হচ্ছে। আমাদের রবীন্দ্রনাথের কাছে এই যুগেও আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে। জীব বিজ্ঞান ও পদার্থ বিজ্ঞান এই দুটিকে এক করে যিনি গবেষণায় বিশ্বমান স্থাপন করেছিলেন সেই জগদীশ চন্দ্র বসু ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জগদীশ চন্দ্র বসুর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ বিজ্ঞান চর্চায় তাকে উদ্ধুদ্ধ করেছিলেন।’

‌আলোচনা সভায় ‌অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানসহ অনেকে।

সারাবাংলা/আরআইআর/একে

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর