Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রশস্ত হচ্ছে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়ক

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ মে ২০২২ ০৯:১৬

প্রশস্ত হচ্ছে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়ক। এজন্য সোনাপুর-কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ (বসুরহাট)-দাগনভুঁইয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৭ কোটি ২ লাখ টাকা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নোয়াখালী জেলার সঙ্গে ফেনী জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দ্রুত, নিরাপদ এবং ব্যয় সাশ্রয়ী যানবাহন ও মালামাল পরিবহন বৃদ্ধিসহ প্রকল্প এলাকার আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ সারাবাংলাকে বলেন, সড়কটি নির্মিত হলে প্রতিদিন গড়ে ১৭ লাখ ২৩ হাজার টাকা যানবাহন পরিচালন ব্যয় এবং ভ্রমণ সময়জনিত ব্যয় সাশ্রয় হবে। এছাড়া এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নসহ দ্রুত, নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। সার্বিকভাবে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। তাই প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সোনাপুর-কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ-দাগনভূঁইয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি নোয়াখালী ও ফেনী জেলার মধ্যে যাতায়াতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, সুবর্ণচর, হাতিয়া, নোয়াখালী সদর, কবিরহাট উপজেলার জনগণ এ মহাসড়কটি ব্যবহার করে নোয়াখালী ও ফেনী জেলাসহ বাণিজ্যিক নগরী চট্টগ্রামে যাতায়াত করে। তাছাড়া মহাসড়কটিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলমান থাকায় ভারী যানবাহন ও এ মহাসড়কে চলাচল করে। জেলা মহাসড়ক মানে নির্মিত নোয়াখালী ও ফেনী সড়ক বিভাগের আওতাধীন ২৯ দশমিক ৮৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কটির বিদ্যমান প্রস্থ ৭ দশমিক ৩ মিটার, যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে দ্রুত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগে পর্যাপ্ত নয়। এছাড়াও মহাসড়কটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো উন্নয়ন কার্যক্রম হয়নি এবং গত বর্ষাকালীন সড়ক পেভমেন্টের বিভিন্ন অংশে ভারী যানবাহন চলাচলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় নোয়াখালী সড়ক বিভাগ অংশে চেইনেজ ১১০ হতে ৫২৩ কিলোমিটার এবং ফেনী সড়ক বিভাগ অংশে চেইনেজ ৫২৩ হতে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত মোট ২৯ দশমিক ৮৯০ কিলোমিটার মহাসড়ক আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসেবে যথাযথ মানে ১০ দশমিক ৩০ মিটার প্রস্থে উন্নীত করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, ৮ দশমিক ৭১৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, ২ দশমিক ১৫০ লাখ ঘন মিটার সড়ক বাঁধ নির্মাণ, ১৮ দশমিক ৬৩২ কিলোমিটার প্রশস্তকরণ, ১৮ দশমিক ৬৩২ কিলোমিটার মজবুতীকরণ, ৮ দশমিক ৩৯৫ কিলোমিটার পুনঃনির্মাণ, ২৭ দশমিক ২৭ কিলোমিটার সার্ফেসিং, এক দশমিক ২৬০ কিলোমিটার আরসিসি রিজিড পেভমেন্ট, ৪৩ কিলোমিটার আরসিসি বক্স কালভার্ট, ৪ হাজার ২২৪ মিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল, ৫ হাজার ৬১০ মিটার আরসিসি ইউ ড্রেন, ৮টি বাস-বে এবং ইউটিলিটি শিফটিং করা হবে।

সারাবাংলা/জেজে/এএম

নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়ক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর