যুবক হত্যা মামলায় ৪ ভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন
৯ মে ২০২২ ১৭:৪১
কুড়িগ্রাম: এক যুবককে হত্যার অভিযোগে দীর্ঘ ১৮ বছর পর ৪ ভাইসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সোমবার (৯ মে) দুপুরে এই রায় দেন বিচারক আব্দুল মান্নান।
পিপি অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মোখলেছুর রহমানের ৪র্থ ছেলে মুদির দোকানদার নুরনবী মিয়া এবং সড়কটারী গ্রামের বাসিন্দা খেতু শেখের ছেলে মোছলেম উদ্দিনের সঙ্গে গম খেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদ বাধে। একপর্যায় নুরনবী মিয়াকে মারধর ও মেরে ফেলার হুমকি দেয় মোছলেম উদ্দিন।
পরে গ্রাম্য সালিশে মোছলেম উদ্দিন ও তার ছোট ভাই রাশেদকে দোষী সাব্যস্ত করে মীমাংসা করে দেয়। এরপর নুরনবী এবং রাশেদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে রাশেদ প্রায় সময় নুরনবীর মুদি দোকানে থাকতে শুরু করে।
গত ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে রাশেদ ও নুরনবী দোকানে রাতে থাকে। পরের দিন সকালে নুরনবীর গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে তার স্বজনরা। এই ঘটনায় নুরনবীর বাবা শিক্ষক মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে চিলমারী থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ ১৮বছর ধরে বিচার কার্যক্রমে ৪৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল মান্নান। দণ্ডপ্রাপ্তরা চার ভাই হলেন- রাশেদ মিয়া, মকবুল হোসেন, তছলিম উদ্দিন ও মোছলেম উদ্দিন। অন্যরা হলেন- চাঁন মিয়া, আব্দুল কাদের, মিন্টু মিয়া, মোনাল উদ্দিন এবং নুরুমিয়া।
এদের মধ্যে চাঁন মিয়া মারা গেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এস এম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও শামছুদ্দোহা রুবেল।
সারাবাংলা/এমও