‘তেল ব্যবসায়ীদের পকেটে শত কোটি টাকা ঢোকাচ্ছে সরকার’
৯ মে ২০২২ ১৭:২৩
ঢাকা: রাতারাতি সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়ে তেল ব্যবসায়ীদের পকেটে শত কোটি টাকা ঢোকানোর ব্যবস্থা করছে সরকার— এমন অভিযোগ করেছেন সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
তিনি বলেন, ‘ভোজ্য তেলের দাম এক লাফে লিটার প্রতি ৩৮ টাকা বাড়িয়ে সরকার প্রমাণ করেছে, এ সরকার মজুতদার ও বাজার সিন্ডিকেটের সহযোগী ও রক্ষক। ক্ষমতায় যেতে জনগণের ভোট প্রয়োজন হয়নি বলে সরকারের জনগণের প্রতি প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই।’
সোমবার (৯ মে) বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ তিনি এ কথা বলেন।
বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সম্পাদক কমরেড নিখিল দাস, কমরেড জুলফিকার আলী, কমরেড ডা. মনিষা চক্রবর্ত্তী, ঢাকা নগর কমিটির সদস্য কমরেড আহসান হাবিব বুলবুল।
বজলুর রশিদ বলেন, ‘ইদের আগেই ইঙ্গিত দেয় যে, ইদের পরে তেলের দাম বাড়ানো হবে। সরকারের এই ইঙ্গিত ব্যবসায়ী মজুতদারদের তেল মজুত করে বাজারে সংকট তৈরি করতে উৎসাহিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে হিসাব আছে দেশে তেলে চাহিদা কত এবং কত টন আমদানি হয়েছে। তাহলে বাজারে তেলের সংকট হলো কীভাবে? আর ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসেই তেলে দাম এক লাফে লিটার প্রতি ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে রাতারাতি তেল ব্যবসায়ীদের পকেটে কয়েক শত কোটি টাকা ঢোকানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে।’
বজলুর রশীদ বলেন, ‘করোনায় সাধারণ মানুষ কর্ম হারিয়েছে, আয় কমেছে, অথচ সরকার নিম্ন আয়ের মানুষদের আয় বাড়ানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং মাংসসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হিসাবে দেখা দিয়েছে।’
ভোজ্য তেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার এবং খাদ্য পণ্যের রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়ে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের দালাল হিসাবে ভূমিকা পালনকারী সরকার জনগণকে ভয় পায় বলে ইভিএম এর নামে ডিজিটাল ভোট জালিয়াতির উদ্যোগ নিচ্ছে।’
তিনি ‘গণবিরোধী’ এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে