তালাক দেওয়ায় স্ত্রীকে ফাঁসাতে মামা শ্বশুরকে হত্যা
৯ মে ২০২২ ১৯:০৫
নোয়াখালী: সদর উপজেলায় শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে মো. ওমর ফারুকের মরদেহ উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি আনছারুল করিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রেস বিফিংয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃত করিম কক্সবাজার জেরার মহেশখালী উপজেলার কালারমাছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে। নিহত ফারুক একই ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের খাতুবের বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর সাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে আসামি আনসারুল করিমের ২০১৮ সালে বিয়ে হয়। গত ২০ এপ্রিল কাজীর মাধ্যমে তারা একে অপরকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ায় আনছারুল করিম তাঁর স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করে আনছারুল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, আসামি তার চাচাতো মামা মো. ওমর ফারুককে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে গত ৫ মে শ্বশুর বাড়ি উত্তর চাকলায় যায়। আনছারুল তাঁর আরেক সহযোগীসহ একইদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুর বাড়ির উত্তর পাশে সুপারি বাগানের মধ্যে নিয়ে মামার শার্ট খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর আসামি তার শ্বশুরবাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর মামার লাশ ফেলে চট্টগ্রামে পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার চার দিন পর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামি রাসেলকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল রোববার ৮ মে দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাকলা গ্রামের খোনার মসজিদসংলগ্ন চুটকি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সারাবাংলা/এমও