স্বামীকে হত্যার পর থানায় নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে স্ত্রী
৯ মে ২০২২ ১৯:১৯
গাজীপুর: টঙ্গীতে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সোমবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বামীর নাম ফয়ছল আলম খান (৩৩)। তিনি সিলেট জেলার রইজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই এলাকার রফিকুল ইসলামের ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে বাস করেতেন, পেশায় একজন রঙ মিস্ত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী মোরশেদা খামারুকে (৪৫) আটক করেছে। মোরশেদা রাজশাহী জেলার বাঘমারা থানার সাদিপুর গ্রামের মৃত মনছুর খামারুর মেয়ে।
জানা যায়, প্রায় তের বছর আগে মোরশেদার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ফয়সল। পরে বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। বিয়ের কয়েক বছর পর মোরশেদা আগের স্বামীর সঙ্গে ফের প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে বিষয়টি মেনে নেয়নি ফয়ছল। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মাঝে ঝগড়া হতো।
সোমবার (৯ মে) দুপুরে ফের কলহে জড়ালে একে-অপরকে মারধর করেন। একপর্যায়ে স্ত্রী মোরশেদা ঘরে থাকা শিল (পাথরের তৈরি) দিয়ে স্বামীর মাথায় আঘাত করলে তিনি জ্ঞান হারান। পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে স্বামী ফয়সলকে হত্যা করে সে।
পরে স্বামীর লাশ ঘরের ভেতর রেখে উল্টো স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করতে থানায় যান মোরশেদা। পরে পুলিশের বিষয়টি সন্দেহ হলে তদন্ত করতে গিয়ে ঘর থেকে স্বামী ফয়ছলের নিথর দেহ উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের (ইএমও) চিকিৎসক ডা. নূরুন নাহার বলেন, ‘লাশের মাথায় দুটি ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মৃত ফয়ছলের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও