পেট্রোল-অকটেনের মজুত পর্যাপ্ত, সংকটের আশঙ্কা নেই: জ্বালানি বিভাগ
৯ মে ২০২২ ২০:৩২
ঢাকা: দেশে পেট্রোল ও অকটেনসহ জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নেই বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ। দেশের উত্তরাঞ্চলে পেট্রোল ও অকটেনের সংকট সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৯ মে) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ ও ৮ মে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত দেশের উত্তরাঞ্চলে পেট্রোল ও অকটেন সংকটের খবর জ্বালানি বিভাগের নজরে এসেছে। জ্বালানি সংক্রান্ত বিষয় জনগণের কাছে পরিস্কারভাবে উপস্থাপন করার জন্য এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন তেল বিপণন কোম্পানির মাধ্যমে সারাদেশে জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী দেশে অকটেন ও পেট্রোলের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে মে ও জুন মাসে প্রয়োজন অনুযায়ী অকটেন আমদানির সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই সূচি অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহেই জ্বালানি তেলবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়ছে। অন্যদিকে ইন্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড এবং জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশীয় বেসরকারি প্ল্যান্টসমূহে অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে, যা জ্বালানি তেলের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ আরও সুসংহত করবে।
আরও বোলা হয়, খুলনার দৌলতপুর থেকে পার্বতীপুর ও চট্টগ্রাম থেকে রংপুরে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়। দেশে পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও ইদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রী পরিবহনে প্রাধান্য দেওয়াসহ ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে ওই ডিপোগুলোতে অকটেন ও পেট্রোল সরবরাহে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে বর্তমানে সারাদেশে অকটেন ও পেট্রোলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তাছাড়া অন্যান্য জ্বালানি তেলের মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। জ্বালানি সংকটের কথা বলে কেউ যদি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি করে তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্রেতা সাধারণকে কোনভাবেই নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে অকটেন ও পেট্রোল না কেনার অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, দেশীয় উৎপাদন দ্বারা পেট্রোলের সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশে অকটেন ও পেট্রোলের স্বাভাবিক গড় মাসিক চাহিদা যথাক্রমে প্রায় ৩৬০০০ মেট্রিক টন এবং ৩৯০০০ মেট্রিক টন। বর্তমান মজুত, আমদানি পরিকল্পনা এবং দেশীয় উৎপাদনের মাধ্যমে এই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ