সভাপতি-প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
৯ মে ২০২২ ২৩:৪১
নড়াইল: সদর উপজেলার তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও জোর করে ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্যদের স্বাক্ষর আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ের লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী ও অভিবাবক সূত্রে জানা যায়, তুলারামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যোগসাজসে ব্যপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্য খান আতাউর রহমান সুজন অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আমাদের নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ সর্ম্পকে কোন কিছুই অবগত করেনি। প্রধান শিক্ষক হঠাৎ করে ডেকে নিয়ে সভাপতিসহ বহিরাগত অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী মামলার আসামিদের উপস্থিতিতে রেজুলেশনের খালি খাতায় জোর করে সই নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি সই না করে একরকম পালিয়ে চলে আসি।’
ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্য মো. আলাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমাকে কোন কথাই বলতে দেয়নি, তারা জোর করে খালি খাতায় সই করিয়ে নিয়েছে।’
ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আমি কিছুই জানতাম না। আমি স্কুলে যাওয়ার পর হেডমাস্টার আমাকে রেজুলেশনের খালি খাতায় সই করতে বলেন। হেডমাস্টারের আচরণে আমি ক্ষুব্ধ হই এবং প্রতিবাদ জানিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক সদস্য জানান, নিয়োগ প্রক্রিয়ার পূর্বেই স্কুলের সভাপতি পরিস্কার জানিয়ে দেন, ঘোড়ার দাম বারো লাখ, এক টাকা কম হলেও চাকরি হবে না।
প্রধান শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ মন্ডলের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব মিথ্যা। যেসব অভিভাবক সদস্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাদের প্রার্থী ছিল বলে তারা এসব বলছে। আমরা সব কিছু সঠিক নিয়মে করেছি। কোন অনিয়ম, নিয়াগ বাণিজ্য হয়নি।’
প্রধান শিক্ষকের কাছে পরিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র দেখতে চাইলে, তিনি ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি ছাড়া দেখানো যাবে না বলে জানিয়ে দেন।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মো ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘সব কিছু বিধি মোতাবেক হয়েছে। স্বচ্ছভাবে প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/এমও