জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাদ থেকে পড়ে নিহত শিক্ষার্থী অমিত কুমার বিশ্বাসের (২৫) রুমে সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে। এছাড়াও তার পড়ার টেবিলেও সুইসাইড নোট পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার রুমমেটরা এসে বালিশের নিচে এ সুইসাইড নোট পান। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার রুম পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে নোটের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ।
সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার মস্তিষ্কই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমি নিজেই নিজের শত্রু হয়ে পড়েছি অজান্তেই। নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমি ক্লান্ত। আর না। এবার মুক্তি চাই। প্রিয় মা, বাবা, ছোটবোন সবাই পারলে আমাকে ক্ষমা করে দিও।’

উদ্ধার করা সুইসাইড নোট
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে নোটের লেখার সঙ্গে তার আগে খাতার লেখার মিল রয়েছে। এছাড়াও তার রুমের যে টেবিলে সে পড়েন সেখানে সুইসাইড বিষয়ক আরও লেখা রয়েছে। আমরা আপাতত রুম বন্ধ করে রেখেছি। পুলিশ এসে বাকিটুকু দেখবে। ’
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রুম পর্যবেক্ষণ শেষে বলেন, প্রাথমিক তদন্তের জন্য নিহতের নিজের ব্যবহৃত দুইটি মোবাইল, সুইসাইড নোট ও নোটের সঙ্গে লিখা মিলানোর জন্য তার দুইটি খাতা জব্দ করা হয়েছে। তার রুম সিলগালা করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হলের ছাদ থেকে পড়ে জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
মরদেহের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে মরদেহের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর আড়াই টার দিকে হলের পাঁচ তলার ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হলে অমিত কুমার বিশ্বাসকে তাৎক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র থেকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৫ টায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার ইন্টারনাল ব্লিডিং ও মাথায় গুরুতর আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।