‘ফ্ল্যাটে বাস করে শিশুরা ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে’
১১ মে ২০২২ ১৩:১৩
ঢাকা: ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলাধুলার মাঠ না থাকার আক্ষেপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুভার্গ্য হলো, ঢাকা শহরে খেলাধুলার জায়গা কম। আমাদের শিশুরা এখন সব ফ্ল্যাটে বসবাস করে। ফ্ল্যাটে বাস করে ফার্মের মুরগির মতো হয়ে যাচ্ছে।’
বুধবার (১১ মে) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০১৩-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এখন মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ-আইপ্যাড ব্যবহার করে। সারাক্ষণ ওরমধ্যে পড়ে থাকা, এটা আসলে মানসিকভাবে ও শারীরিকভাবে সুস্থতার লক্ষণ না।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় ক্রীড়াকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেই। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরি করছি। সেই সাথে আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সারাদেশে প্রতি উপজেলায় খেলার মাঠ তৈরি হচ্ছে। মিনি স্টেডিয়াম নাম দেওয়া হয়েছে। সেটার নির্মাণের কাজ চলছে। এটা সময় নিচ্ছে, আমি মনে করি এটা আরও দ্রুত শেষ করা দরকার।
১৮৬টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে এবং আরও ১৭১টি উপজেলায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি মনে করি এ ব্যাপারে যথেষ্ট সময় নেওয়া হচ্ছে। যাতে আরও সময় নেওয়া না হয়, সেটা দেখতে হবে।
কক্সবাজারে ক্রীড়া কমপ্লেক্স এবং সিলেটে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুইটি স্টেডিয়ামের দুইটি বিশেষ দিকে আমরা দৃষ্টি দিয়েছি। কক্সবাজার স্টেডিয়ামে সমুদ্রের দিকটা সম্পূর্ণ খোলা থাকবে, আর সিলেটে যেখানে পাহাড়, সেখানে যাতে সবুজ দৃশ্যটা দেখা যায়, সেইদিকটা উন্মুক্ত রেখে করা হচ্ছে।
ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলার স্টেডিয়ামগুলোকে শুধু ক্রিকেট স্টেডিয়াম বললে, সেটা আর সারাবছর ব্যবহার হয় না। সেই কারণে এই স্টেডিয়ামগুলোকে সকল খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। ক্রিকেট খেলার জন্য পিচ তৈরি করা থাকলে, সেটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এখন তো আধুনিক প্রযুক্তির পিচও পাওয়া যায়।
খেলাধুলাসহ সবদিক থেকেই আমাদের আরও বেশি উদ্যোগী হওয়া উচিত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা যারা গার্জিয়ান অভিভাবক তাদেরকে আমি অনুরোধ করব, কিছু সময়ের জন্য হলেও ছেলেমেয়েরা যাতে হাত পা ছুঁড়ে খেলতে পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
এর আগে ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০১৩-২০২০ সালে মনোনিত ৮৫ জন সেরা খেলোয়াড় ও সংগঠককে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সারাবাংলা/এনআর/এএম