সুসময়ের জন্য অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে: অর্থমন্ত্রী
১১ মে ২০২২ ১৫:৫২
ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আ হ ম কামাল বলেছেন, সময় যখন কঠিন, তখন আপনাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা যেভাবে চলছি, সারাবিশ্বের অবস্থাও একই রকম। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের একীভূত হয়ে কাজ করতে হয়। বিশ্বের যে সার্বিক অবস্থা সেটি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। সুসময়ের জন্য এক্সটারনাল ভার্নাবিলিটি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
বুধবার (১১ মে) দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কঠিন সিদ্ধান্ত বলতে আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের স্বাভাবিক অবস্থায় কোনো রকম ঘাটতি আসবে সেরকম কিছু নয়। যেমন বিলাসবহুল আইটেম এখন না কিনে দুই মাস বা ছয়মাস পর কিনতে পারি। যেসব প্রকল্প আমরা করতে চেয়েছিলাম, আমরা যদি মনে করি সেগুলো এখন না করলেও সমস্যা নাই সেগুলোকে আমরা পরবর্তী সময়ের জন্য রেখে দেবো, এভাবে আমরা সমন্বয় করছি। এখানে কোনো কিছু কমতি না, শুধু সময় কার্যকরভাবে সমন্বয় করতে চাই। আশা করি অর্থনীতির গতিশীলতা হারাবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব সারাবিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। এটা কবে শেষ হবে আমরা জানি না। এই যুদ্ধের প্রভাব সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, বাংলাদেশও তার বাইরে নয়। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে আমরা চিন্তিত।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনি বলতে পারবেন না রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ কবে থামবে। মূল কারণ তো একটাই, এ মুহূর্তে কোভিড নাই। কোভিড মহামারি সারাবিশ্বে কমে গেছে সেজন্য শুকরিয়া আদায় করি। এটির প্রভাব আর নেগেটিভলি পড়ছে না। এখন শুধুমাত্র যুদ্ধের প্রভাব সারাবিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। সবাই এটা নিয়ে কষ্ট পাচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন বিশেষ কারণ ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। বিনা কারণে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না। বিষয় আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।
বাংলাদেশের জিডিপি গ্রোথ নিয়ে অর্থনীতিবিদদের সন্দেহ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা সঠিকভাবে জিডিপি হিসাব করছি। এ নিয়ে সন্দেহের কোনো কারণ নেই। আমাদের হিসাব নিয়ে বিশ্বব্যাংক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল কোনো ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করছে না, ফলে আমাদের জিডিপি হিসাব সর্বজন গ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, আজকের অনুমোদিত প্রস্তাবের মধ্যে একটি প্রকল্প খুব অসাধারণ। সেটি হলো আমাদের ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশে জায়গা-জমি নিয়ে যেগুলোর কাগজপত্র নেই, সেগুলো নিয়ে অনেক মামলা মোকাদ্দমায় যেতে হয়। সেই মামলা মোকাদ্দমা সহজে শেষ হয় না। আমরা বিশ্বাস করি সেটি থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পাবে। কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমির কাজগুলো সব ডিজিটালাইজড হবে। দেখা যাবে সবকিছুই এর আওতায় চলে আসবে। এটি খুব ভালো কাজ। দেশের মানুষের জন্য এটি কল্যাণকর। তাই এটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/এএম